মূর্তি ধ্বংসা করা প্রসঙ্গে-
এমন
লোককি পাওয়া
যাবে যে
বলবে ভাই
আমার ভুল
হলে আমাকে
শুধরে দিও। যদি
অন্যায় করি
হয় ক্ষমা
করো না
হয় এই
দুনিয়ায় শাস্তি
দিও।
বস্তুত এহেন
কথা মনে
মনেই বলা
যাই, কল্পনা
করা যায়। কিন্তু
আমি বলছি
যদি এমন
হয় যে
কোন মুসলমান
আমার নবী
মুহাম্মদের প্রতিকৃতি বানালো আর আপনি
তা ভেঙ্গে
ফেলেন, কেউ
যদি আপনার
পাশে না
দাড়ায় আমি
আছি আপনার
পাশে, জেনে
রাখুন।
কারণ নবীজির
কোন প্রতিকৃতি
নেই।
আর যারা
সত্যপন্থি।
বেদ্ব মানেন
তারা অবশ্যই
বলবেন মূর্তি
পুজা নিষেধ। আর যারা নিষেধ
কাজের স্বপক্ষে
তাদের তো
মনোক্ষুন্ন হবারই কথা। যেমন
ধরেন: আমি
তামাক পছন্দ
করি আর
আপনি আমাকে
বললেন ভাই
তামাক দেহের
জন্য ক্ষতিকারক,
তামাক সেবন
পরিহার করুন। এখানে
আপনি আমাকে
যতই ভালভাবে
বুঝাতে চেষ্টা
করুন কোন
লাভ হবে
না।
অপর দিকে
যদি তামাক
দ্রব্যাদি নষ্ট করে দেন তবে
আমার খুব
খারাপ লাগবে। যদিও
এটা ক্ষতিকর। হাজার
হাজার তামাক
প্রেমী কষ্ট
পাবে, মনোক্ষুন্ন
হবে।
তা বলে
কি তামাক
নষ্ট করা
বা তামাক
নষ্টকারী খারাপ
হয়ে গেল। পজেটিভভাবে
দেখলে তামাক
নষ্টকারীকে ধন্যবাদই দেয়ার কথা। নেগেটিভভাবে দেখলে
আপনি হাজার
হাজার তামাক
প্রেমীর মনে
কষ্ট দিয়েছেন। তাদের
প্রিয় জিনিষ
ধ্বংস করেছেন।
প্রকৃত
বিজ্ঞ, জ্ঞানী,
বিবেকবান ব্যক্তিমাত্র
বিষয উল্লেখিত
সঠিক ধারণার
নির্যাস উপলব্দি
করতে পারবে
বলে আশা
করছি।
মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অমুসলিমদের ঘরবাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে-
ঘটনাটি যে কারও প্রতি হউক না কেন থুবই মর্মান্তিক। কষ্টকর, পীড়াদায়ক। মুসলমানদের ভুলে গেলে চলবে না যখন তাদের অবস্থা করুন ছিল সেই জাহেলী যুগে তখন কতই না কষ্ট পেতে হয়েছিল তাদের। রসূল (স:)কষ্ট করেছেন কাউকে কষ্ট দেননি। আমি সবাইকে একটা পরিষ্কার ধারণা দিতে চাই যে, প্রত্যেক মানুষই মুসলমান হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। পরিবর্তীতে পরিবেশের কারণে একটা ধর্মের অনুসারী হন। এক্ষেত্রে আমি (আলহামদুলিল্লাহ)একজন মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছি তাই আমি পরিচয় পেয়েছি একজন মুসলিম হিসেবে। আমার বুঝার মত জ্ঞান হয়েছে, আমি পবিত্র কুরআন পড়েছি হাদিস পড়েছি। এখন পবিত্র কুরআন ও হাদিস অনুসারে চলছি তাই বলতে পারি আমি একজন মুসলিম। যদি পবিত্র কুরআন ও হাদিস অনুসারে না চলি তাহলে আমি বলতে পারিনা আমি একজন মুসলিম। কথাটা ভালভাবে বুঝানোর জন্য একটা উদাহরণের আশ্রয় নিচ্ছি। ধরুন: আপনি একজন ড:। কিছুদিন ডাক্তারি করার পর ডাক্তারি পেশ ছেড়ে দিয়ে আপনি ব্যবসা করতে শুরু করলেন। এখন কি আপনাকে ড: বলা ঠিক হবে। কেউ কেউ বলতে পারেন হ্যা বলা যায় কারণ তিনি তো ড: ছিলেন। বর্তমানে না হয় ব্যবসা করছেন। মানলাম আপনার কথা। তাহলে মূল বিষয় দাড়াচ্ছে মানুষ পূর্ব পেশাকেও স্বীকৃতি দেয় যদিও বলা উচিত ছিল তিনি বর্তমানে একজন ব্যবসায়ী। কতজন মানুষ এই বিষয়টা উপলব্ধি করবে বা করতে পারে। অথচ ঐ বর্তমান ব্যবসায়ীও পরিচয় দিবে যে আমি বর্তমানে একজন ব্যবসায়ী। অবশ্য যদি তাকে প্রশ্ন করা হয় এই পেশায় আসার পূর্বে আপনি কি করতেন তাহলে তিনি বলতে পারেন ডাক্তারি করতাম। আর এমনও হতে পারে তিনি বলতে পারেন আমি একজন ড: বর্তমানে ব্যবসা করি। তাহলে বোঝায় যায় পূর্ব পরিচয় থাকে ঠিকই কিন্তু বর্তমান পেশাটাই অগ্রাধিকার পায়। অনুরূপ একজন মুসলিম ততক্ষণ মুসলিম যতক্ষন সে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের অনুরূপ পথে চলবে। যদি কোন মুসলমান এখন আজকেই বলে আমি জিনা করাকে বৈধ মনে করি (নাউযুবিল্লাহ) তাহলে তিনি আর মুসলমান থাকল না। তিনি মুসলমান ছিলেন ঠিক আছে কিন্তু এখন আর মুসলমান নেই। দেখা যায় না, ছোয়া যায় না অথচ তার ঈমান (বিশ্বাস) নষ্ট হয়ে গেল। অবশ্য যদি সে তার ভুল বুঝতে পারে আর তওবা (ক্ষমা প্রার্থণা) করে তাহলে আবার পবিত্র মনে কালেমা পড়তে হবে। নচেত সে কাফির হিসেবে গণ্য হবে। তাহলে স্পষ্ট যে পবিত্র কোরআন ও হাদিস বিরোধী কোন কর্ম করে কেউ মুসলমান থাকতে পারেনা। ব্যবসা করবেন আর বলবেন আমি একজন ড: তা তো হয় না, পিয়নের চাকরী করবেন আর বলবেন আমি এ কোম্পানীর মালিক তা তো হয় না। কথা বুঝে আসছে?
মসজিদের মহিলাগণ নামাজ আদায় করতে পারে-
উত্তরা কাঁচাবাজার জামে মসজিদ, আজমপুর, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ চলে আসুন জুম্মার নামাজ পড়াও হবে মহিলারা যে মসজিদে নামাজ পড়ে তা দেখাও হবে। ৬ নং সেক্টরেও আছে। আর (আলহামদুলিল্লাহ) আমার গ্রামের মসজিদের দ্বিতলায়ও মহিলাদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা আছে। আপনার এলাকায় যে নেই তাও বলা যাবে না। ভালমত খোঁজ করলেই পাওয়া যেতে পারে। মহিলাদের মসজিদে নামাজ আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। তবে পুরুষ ও মহিলারা এক কাতারে নামাজ আদায় করতে পারবেনা। কারণটাও স্পষ্ট আমরা যখন নামাজ আদায় করি তখন কাধে কাধ মিলিয়ে দাড়ায়। আর মহিলাদের শরীরে ১ডিগ্রী তাপমাত্রা বেশী থাকে তাই স্বাভাবিক ভাবেই নামাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হবে। সুতরাং মহিলারা মসজিদে নামাজ আদায় করবে তবে তারা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করবে। তাহলে মহিলা মা বোনদের বলবো আজ থেকে প্রতিটা জুম্মার নামাজ মসজিদেই পড়ুন, নির্দিধায়, বিনয়ের সাথে।
No comments:
Post a Comment