Jagrotobibek24

তথ্য, বিনোদন, সমাজ, বিজ্ঞান ও সাহিত্য সমৃদ্ধ একটি সুন্দর ব্লগ

Sponsored by: VINNOMATRA

GoRiseMe.com

Followers

Tuesday, 20 October 2015

আল্লাহ কে? আল্লাহর পরিচয়- এক হিন্দু ভাই আমাকে (তথা মুসলমানদের) কিছু প্রশ্ন করেছেন- নিচে প্রশ্নসহ ধারাবাহিকভাবে উত্তর দেওয়া হলো-

এক হিন্দু ভাই আমাকে (তথা মুসলমানদের) কিছু প্রশ্ন করেছেন- নিচে প্রশ্নসহ ধারাবাহিকভাবে উত্তর দেওয়া হলো-



জাগো  হিন্দু - Jago Hindu" মুসলিম ভাইরা রাগ করবে না। আমি শুধু জানতে চাই
==>>> 1. তোমাদের আল্লা কে??? কোন চাদরের তলায় লুকিয়ে থাকে???
2. সে নিরাকার কেন?? সে কি জেলি টাইপের কোনো বস্তু?? নাকি কলয়েড জাতীয়
কোনো পদার্থ?? 3. সে যদি সর্বশক্তিমান হয়, তাহলে তাকে তোমাদের হুক্কাহুয়া
 আওয়াজ দিনে ৫ বেলা মাইক নিয়ে ডেকে শোনাতে হয় কেন?? সে কি কানে বধির???
4. আল্লা এত নিষ্ঠুর কেন?? সে কেন বিধর্মীদের বুকে ভীতি সঞ্চার করে দেয়,
যাতে করে তোমরা বাকি বিধর্মীদের মেরে শেষ করে ফেল?? যদি আল্লা কাফেরদের
সহ্য না করতেই পারে, তাহলে মুসলমানদের তুলনায় 4 গুণ কাফেরকে পাঠালো কেন
পৃথিবীতে?? 5. আর সবাই যদি মুসলিম হয়েই জন্মায়, তাহলে তাকে কৃত্রিম ভাবে
নুনু কাটতে হয় কেন?? আল্লার কাছে কি কাঁচি নেই, নাকি সে হিজড়া, যে কাউকে
নুনু কেটে পাঠানোর ক্ষমতা নেই?? 6. আর কে তোমাদের নবী মহম্মদ, সে নাকি
আল্লার নবী?? আল্লার নবী যদি হয়, তাহলে সে কেন বুড়ো বয়সে ৬ বছরের শিশু
আয়েশাকে বিয়ে করল?? 7. নবী মহম্মদ কেন সব মিলিয়ে ১৫-১৬ টা বিয়ে করল??
কেন সে ইহুদি যৌনদাসিদের লুটেপুটে খেল?? তোমাদের নবীর চরিত্র এরকম কেন??
তাহলে আল্লা ও কি তার মতো নারি লোভী, কামুক?? 8. বিধর্মীরা আল্লা বা তার
নবীকে নিয়ে যদি প্রশ্ন করে, তাহলে তোমরা তাকে চাপাতি নিয়ে মারতে যাও
কেন?? কেন রিপোর্ট করে তার ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দাও?? আল্লা কি এতটাই
নপুংসক, যে তাকে নিয়ে প্রশ্নকারী বিধর্মীদের নিজের হাতে মারতে পারেনা???
আমি শুধু জানতে চাই?????????????






এ্যতদিনে আমাকে কেউ এমন প্রশ্ন করে ইসলামের শান্তির বানী পৌছানো সুযোগ করে
দিয়ে অন্তত একটা সহীহ হাদিসের আমল করার তৌফিক দিল (সহীহ হাদিসে আছে- তোমরা
যদি একটিও কোরআনের আয়াত জানো তবে তা অন্যের কাছে পৌছে দাও): এজন্য আপনাকে
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

এখন বর্তমানে আসি। কারণ আমরা সবাই বাস্তববাদী। যদি আপনিও তাই হউন তবে এটা
মানতে কোন অসুবিধা নেই যে, যা বৈজ্ঞানিক তা গ্রহণ করবো আর যা অবৈজ্ঞানিক তা
 পরিহার করবো যদিও তা এমন কেউ বলেন, যাকে আপনি প্রাণের থেকেও বেশি
ভালবাসেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ধরুন আপনার কোন গুরু (আপনি তাকে খুবই
শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন) আপনাকে বলল যে, ২ যোগ ২ = ৫। নিশ্চয় আপনি তা
মানবেন না। কারণ ২ যোগ ২ = ৫ নয় ২+২=৪।


আমি জানি অমুসলিমদের মনে নানান প্রশ্ন থাকে ইসলাম সমন্ধে। তারা বিভিন্ন
মন্তব্য করে না জেনে আর যা সত্য নয় তাও বলে অবশ্য না জানার কারণেই। আর যারা
 জানতে চাই তারা অবশ্যই সতিকারের ইসলামকে বুঝতে পারে।

আপনার অনেক গুলো প্রশ্ন যার প্রতিটি উত্তর দেয়া যায়। কিন্তু সময় স্বল্পতার
কারণে মাত্র আজ একটি উত্তর সংগ্রহ করছি। কারণ আমি একজন ব্যবসায়ী। প্লিজ
কিছু মনে করবেন না।
আমি মাঝে মাঝে আপনার করা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো
ইনশা-আল্লাহ (মানে যদি আল্লাহ চাহে তো)

আল্লাহ কে?

আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) এই বিশ্বভ্রম্মান্ডের একমাত্র
সৃষ্টিকর্তা, স্থপতি, নির্মাতা, পরিচালক, নিয়ন্ত্রক ও প্রভু।

আল্লাহ্‌ (ﷲ) আরবি শব্দ এবং ইসলামের ঈশ্বর বলে বহুল প্রচারিত হলেও পৃথিবীর
প্রতিটি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ [মূল ধর্মগুলো] আসলে আল্লাহ্‌কেই
বিশ্বভ্রম্মান্ডের একচ্ছত্র প্রভু এবং উপাসনার যোগ্য ঈশ্বর বলে মানে।
কেবলমাত্র আমাদের পর্যাপ্ত পড়াশোনার অভাবে আমরা এই প্রকৃত সত্যটি জানি না।

হীব্রু বাইবেলে খ্রীষ্টানরা [যাদের কাছে ইসা (আঃ) নবী হিসেবে এসেছিলেন] বুক
 অফ জবে [নবী আইউব (আঃ)] ৪১ বার আল্লাহ্‌কে তাদের ঈশ্বর হিসেবে উল্লেখিত
পেয়ে থাকবেন। খ্রীষ্টানরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে আল্লাহ্‌কে  তাদের খোদা
বলে মেনে থাকেন।১ হিন্দুধর্ম বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসের কারণে ব্যপক পরিচিত,
কিন্তু হিন্দুধর্মগ্রন্থগুলো নিয়ে সত্যিকার অর্থে পড়াশোনা করলে দেখা যায়
 যে হিন্দু ধর্মও কেবলমাত্র একজন ঈশ্বরকেই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও প্রভু
বলে স্বীকার করে নেয়। “তিনি এক ও অদ্বিতীয়,” “তাঁর কোন পিতামাতা ও কোন
ঈশ্বর নেই,” “তাঁর মত কিছুই নেই,” “তিনি নিরাকার, তাঁকে কেউ চোখে দেখতে
পায় না,” “তাঁর কোন প্রতিমা নেই,” “তিনি নিরাকার ও পবিত্র।“২

ইহুদিরা [যাদের কাছে মূসা (আঃ) নবী হিসেবে এসেছিলেন] তাদের ঈশ্বরকে ইলোয়াহ
 (אלוהּ) নামে ডেকে থাকেন, যার ভাষাগত মূল হল আল-ইলাহ, অর্থঃ একমাত্র
প্রভু। ভাষাগত দিক থেকে সেই আল (the) ইলাহ (God) থেকেই এসেছে আল্লাহ্‌।৩
এমনকি শিখ ধর্মগ্রন্থেও [গুরু গ্রন্থ সাহিব] আল্লাহর [পাঞ্জাবিঃ ਅਲਹੁ] নাম
৪৬ বার ঈশ্বর হিসেবে উল্লেখ আছে।৪

যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদের প্রতিপালক, তাঁকে তাবৎ দুনিয়ার
সকল ধর্মের গ্রন্থে প্রভু বলে ঘোষনা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আল্লাহ্‌
(সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা), কেবল ইসলামের নয়, সকল ধর্মের এমনকি যারা
ধর্মে বিশ্বাস করেন না সকলেরই স্রষ্টা ও ইবাদতের একমাত্র প্রভু।


আল্লাহ্‌কে চেনার উপায়?

যেহেতু আমাদের প্রতিপালক আমাদের কাছে অদৃশ্যমান, তাই তাঁকে চেনার উপায় কি?
 চলুন দেখা যাক ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআনে, স্বয়ং আল্লাহ্‌
কিভাবে তাঁর সৃষ্টির কাছে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন।

    হে মুহাম্মাদ (সাঃ) বলুন, “তিনি আল্লাহ্‌, এক। আল্লাহ্‌ স্বয়ংসম্পূর্ণ
 (তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, বরং সবকিছু তাঁর ওপর নির্ভরশীল)। তার কোন
সন্তান নেই, এবং তিনি কারও সন্তান নন। তাঁর মত কিছুই নেই।” [সুরাহ আল-ইখলাস
 (১১২)]

আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) এই বিশ্বজগৎ এবং এর অধিবাসীদের
একমাত্র রব (সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালক), এবং এই সার্বভৌমত্ব তার কাছে কোন
কঠিন কিছু নয়। তিনি তাঁর সৃষ্টির সঙ্গে কোন রকম তুলনা বা সাদৃশ্য থেকে
অনেক উর্ধ্বে, তাই তাঁর কোন সন্তান থাকা সম্ভব নয়, বা তিনি কারও সন্তান
হতে পারেন না। তিনি দেখতে কেমন তা আমাদের পৃথিবীর চোখে ও মস্তিষ্কে দেখা বা
 বোঝা সম্ভব নয়। তিনি অদ্বিতীয় – তাঁর সাথে তুলনাযোগ্য কোন কিছুই নেই।

    তিনি (আল্লাহ্‌) তোমাদের শ্রবণ, দৃষ্টি ও মস্তিষ্ক দিয়েছেন। অল্পই
তোমরা শুকরিয়া জানাও। তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কাছেই তোমরা
জড়ো হয়ে ফিরবে। তিনি জীবন দেন, মৃত্যু ঘটান, দিন-রাতের পালা ঘটান। তবুও
কি তোমরা যুক্তি খাটাবে না? [আল-কোরআন ২৩:৭৮-৮০]

    আল্লাহ্‌র কোন সন্তান নেই, আর কোন প্রভুও নেই তাঁর সাথে। যদি একাধিক
প্রভু থাকতো, প্রত্যেক প্রভু সে যা সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে নিত, এবং এক
প্রভু আরেক প্রভুকে পরাস্ত করায় মগ্ন থাকতো। তারা (যারা আল্লাহ্‌র একক
প্রভুত্বে বিশ্বাস আনেনি) যা বলে তা থেকে আল্লাহ্‌ পবিত্র। [আল-কোরআন
২৩:৯১]

আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) চান তাঁকে আমরা সেভাবেই দেখি ও ডাকি
যেভাবে তিনি নিজে এবং তাঁর নবীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। ইসলামে আল্লাহ্‌র
৯৯টি নাম বলে যে প্রচলন আছে সেগুলো কোরআন ও হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহ্‌র
প্রতি সম্বোধন বা বর্ণিত গুনাবলী থেকে তালিকা করা। আমরা সেভাবেই তাঁকে
দেখবো এবং নতুন নাম দেয়া থেকে বিরত থাকবো। যেমন তিনি নিজেকে সম্বোধন
করেছেন সর্বোচ্চ পরাক্রমশালী (আল-আজিজ) [আল-কোরআন ১১:৬৬]। কোরআন ও হাদীসে
আল্লাহর যতটুকু পরিচয় আছে ততটুকুর বাইরে তাঁর পরিচয় দেয়া অন্যায় হবে।
যেমনঃ

    “…আল্লাহ্‌ তাদের (অমুসলমান ও মুনাফীক্ব) প্রতি রাগান্বিত হন এবং
অভিশাপ দেন, এবং তাদের জন্য নিকৃষ্ট সমাপ্তি প্রস্তুত রেখেছেন।” [আল-কোরআন
৪৮:৬]

অনেকে মনে করতে পারেন রাগান্বিত হওয়া দুর্বলতার প্রতীক এবং এটা কেবল
সৃষ্টির পক্ষেই সম্ভব, সৃষ্টিকর্তার পক্ষে নয়। আল্লাহ্‌
(সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) রাগের ঊর্ধে – এটা সম্পূর্ণ ভুল। যেহেতু
আল্লাহ্‌ বলেছেন, সেহেতু তিনিও রাগান্বিত হন, কিন্তু তা আমাদের মত নয়।
যেমন, আমরা একটু আগে জেনেছিঃ “তাঁর মত কিছুই নেই।“ [আল-কোরআন ১১২:৪] তাই
আল্লাহ্‌র গুনাবলীগুলো নামে মিল থাকলেও, তার সৃষ্টির সাথে তুলনীয় নয়।

আল্লাহ্‌র সৃষ্টিকে তাঁর নাম ও গুনাবলী দেয়া যাবেনা। যেমনঃ কারও নাম আজিজ
[পরাক্রমশালী] হতেই পারে, কিন্তু আল-আজিজ [সর্বোচ্চ পরাক্রমশালী] বলে কাউকে
 ডাকলে বা মনে করলে তাকে আল্লাহ্‌র গুনাবলী দিয়ে দেয়ার অপরাধ হবে। “তিনি
(মুহাম্মাদ) তোমাদের নিয়ে চিন্তিত, বিশ্বাসীদের জন্য করুনাময় (রা’উফ) ও
দয়াময় (রাহীম)।“ [আল-কোরআন ৯:১২৮] কিন্তু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
 ওয়া সাল্লাম) -কে  সর্বোচ্চ করুনাময় (আর-রা’উফ) বা সর্বোচ্চ দয়াময়
(আর-রাহীম) মনে করা যাবেনা, কারন এগুলো কেবল আল্লাহ্‌র গুনাবলী।

    “আমি জ্বীন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” [আল-কোরআন
 ৫১:৫৬]

    “আল্লাহ্‌ ছাড়া কারও ইবাদত কোরো না যা তোমাদের সাহায্য বা ক্ষতি কিছুই
 করতে পারেনা।“ [আল-কোরআন ২১:৬৬]

    “আল্লাহ্‌ ব্যাতীত যাদের ইবাদত তোমরা করো, তারা শুধু তোমাদের মতই
আল্লাহ্‌র দাস।“ [আল-কোরআন ৭:১৯৪]

    “নিশ্চয়ই প্রতিটি জাতির কাছে আমরা রসূল (মূসা, ঈসা, মুহাম্মাদ প্রমুখ:
 তাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) পাঠিয়েছি, বলার জন্য যে কেবল আল্লাহ্‌র
ইবাদত করো এবং মিথ্যা ঈশ্বর পরিত্যাগ করো।“ [আল-কোরআন ১৬:৩৬]

    “তারা (ইহুদীরা) তাওরাতের শিক্ষকগন, সাধুদের ও মূসাকে আল্লাহ্‌র পাশে
প্রভু হিসেবে নিয়েছে। অথচ তাদের বলা হয়েছিল আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন উপাস্য
নেই…।“ [আল-কোরআন ৯:৩১]

তাই, আমাদের সমস্ত ইবাদত (অর্থঃ সম্পূর্ণ আনুগত্য বা বশ্যতা) আল্লাহ্‌র
প্রতি হওয়া উচিত। মানুষের প্রবর্তিত প্রচলিত মতবাদ বা সিস্টেমকে আল্লাহ্‌র
 আইনের (শরিয়াহ) ঊর্ধে মনে করা, সৃষ্টিকে সৃষ্টিকর্তার উপরে স্থান
দেয়াকেই বোঝায়। সরকার ব্যবস্থার কারণে সব জায়গায় আল্লাহ্‌র আইন পালন
করা সম্ভব না হলেও বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ্‌র আইনই সবচেয়ে উপরে। নয়ত
আল্লাহ্‌র (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) প্রভুত্যকে অবজ্ঞা করা হবে। একইভাবে
তাবিজ ব্যবহার করা, পীর, ঈমানদার, মৃত ব্যাক্তির কাছে প্রত্যক্ষ্য বা
পরোক্ষভাবে এমন সাহায্য চাওয়া যা কেবল আল্লাহ্‌ই পূরন করতে পারেন, তা
আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্বের অংশীদার করা (শিরক), চরম অবাধ্যতা প্রদর্শন এবং
আল্লাহ্‌র প্রভুত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামীল। সরাররি আল্লাহ্‌র সাহায্য
কামনা না করে মাধ্যম ব্যবহার করাও একই ধরনের শিরক। এসব মিলিয়েই আমাদের
মাঝে আল্লাহ্‌ (সুবহানাল্লাহুওয়াতায়ালা) -এর ধারনা আনতে হবে।



তারপরও যদি প্রশ্ন থাকে যে, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কে কে সৃষ্টি করেছেন ? এর ৩ টা উত্তর আছে। হয় আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে কেউ তৈরী করেছেন বা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজে নিজেকে তৈরী করেছেন অথবা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হচ্ছেন একটি অনন্ত অসীম আজালী সত্ত্বা যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কে যদি কেউ সৃষ্টি করেন তাইলে তো আর তিনি আল্লাহই হলেন না। এখন ২য় শর্তে যদি যাই তাইলে দেখব যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজে নিজেকে তৈরি করেছেন। এটাও গ্রহনযোগ্য নয় কারন এটা করতে হলে আগে আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে নিজের অস্তিত্ত্বে আসতে হবে এরপর নিজে নিজেকে তৈরী করতে হবে। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যদি আগেই অস্তিত্ত্বে এসেই পড়েন তাইলে আর নিজেকে সৃষ্টি করার কি দরকার ? তাইলে ৩য় শর্ত টাই ঠিক। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হচ্ছেন একটি আজালী বা অনন্ত অসীম সত্ত্বা যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। আল-কোরআনের সূরা ইখলাসে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজের সম্পর্কে যা বলেছেন এটাই আমাদের মানতে হবে যে উনাকে কেঊ সৃষ্টি করেনি আর উনিও কাউকে জন্ম দেন নি উনি হলেন একটি আজালী বা অনন্ত অসীম সত্ত্বা। যখন কেউ ছিল না তখনও আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ছিলেন আর যখন কেউ থাকবে না তখনো আল্লাহ সুবহানাতায়ালা থাকবেন। আর মানুষ হচ্ছে একটি সসীম সত্ত্বা। একটি সসীম সত্ত্বা কখনই একটি অনন্ত অসীম আজালী সত্ত্বাকে বুঝতে পারবে না। একটা পাখি যেমন কোনদিন মানুষের মস্তিস্ক কে বুঝতে পারবে না, বিড়াল যেমন কখনো ল্যাপটপ কিভাবে চলে তা জানতে পারবে না ঠিক তেমনি আমরা মানুষেরাও কখনোই দুনিয়ার জীবনে পুরাপুরি ভাবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে বুঝতে পারবো না। আল-কোরআনে এবং সহীহ হাদীসে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নিজের সম্পর্কে যতটুকু বলেছেন ততটুকুর উপরই আমাদের কে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কারন মানুষ হচ্ছে একটা সসীম সত্ত্বা আর আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হচ্ছেন একটা অনন্ত অসীম আজালী সত্ত্বা। আল্লাহর সত্ত্বা সম্পর্কে এর বেশী চিন্তা করলে আমাদের কে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে।

বিস্তারিত:
http://www.farabiblog.com/?p=108

ড. জাকির নায়েককে জিজ্ঞাসা করা হয়, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন, যার কোনো শেষ নেই শুরুও নেই। উত্তরে ড. জাকির নায়েক বলেন, সাধারণত এ প্রশ্নের উত্তরটি আমি আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে দিই। এভাবে যে, আমি বললাম, আমার বন্ধু জন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। সে হাসপাতালে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। আপনি বলতে পারবেন সন্তানটি ছেলে না মেয়ে?

ডা. জাকির নায়েক কয়েকবার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করার পরও কেউ উত্তর দেয়নি। তখন তিনি বলেন, এখানে ঘটনা হলো, জন একজন পুরুষ সে কিভাবে সন্তান জন্ম দেবে। যেহেতু সে পুরুষ তাই সে সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। তাই এ প্রশ্ন করাও বোকামি যে তার বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করাই উচিত নয়।

তবে কেউ যদি প্রশ্ন করে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন তাহলে আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার সংজ্ঞা হচ্ছে, তাকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি কারও সন্তান নন, তাকে কেউ জন্ম দেয়নি। যদি কোনো ইশ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রকৃত ইশ্বর নন। এ জন্য আমরা বলে থাকি, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তিনি ছাড়া কোনো আল্লাহ নেই। তিনিই এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সৃষ্টি হননি তাকে কেউ সৃষ্টিও করেনি। তার শুরুও নেই, শেষও নেই। তিনিই সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবকিছু তার ওপর নির্ভর করে। তিনি কারও ওপর নির্ভর করেন না। বিস্তারিত জানার জন্য ড. জাকির নায়েক তার ‘ইজ দ্যা কোরান গড ওয়ার্ড’ বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করেন।
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/islam/2015/07/06/2026#sthash.64YEFqbf.dpuf
ড. জাকির নায়েককে জিজ্ঞাসা করা হয়, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন, যার কোনো শেষ নেই শুরুও নেই। উত্তরে ড. জাকির নায়েক বলেন, সাধারণত এ প্রশ্নের উত্তরটি আমি আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে দিই। এভাবে যে, আমি বললাম, আমার বন্ধু জন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। সে হাসপাতালে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। আপনি বলতে পারবেন সন্তানটি ছেলে না মেয়ে?

ডা. জাকির নায়েক কয়েকবার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করার পরও কেউ উত্তর দেয়নি। তখন তিনি বলেন, এখানে ঘটনা হলো, জন একজন পুরুষ সে কিভাবে সন্তান জন্ম দেবে। যেহেতু সে পুরুষ তাই সে সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। তাই এ প্রশ্ন করাও বোকামি যে তার বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করাই উচিত নয়।

তবে কেউ যদি প্রশ্ন করে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন তাহলে আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার সংজ্ঞা হচ্ছে, তাকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি কারও সন্তান নন, তাকে কেউ জন্ম দেয়নি। যদি কোনো ইশ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রকৃত ইশ্বর নন। এ জন্য আমরা বলে থাকি, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তিনি ছাড়া কোনো আল্লাহ নেই। তিনিই এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সৃষ্টি হননি তাকে কেউ সৃষ্টিও করেনি। তার শুরুও নেই, শেষও নেই। তিনিই সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবকিছু তার ওপর নির্ভর করে। তিনি কারও ওপর নির্ভর করেন না। বিস্তারিত জানার জন্য ড. জাকির নায়েক তার ‘ইজ দ্যা কোরান গড ওয়ার্ড’ বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করেন।
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/islam/2015/07/06/2026#sthash.64YEFqbf.dpuf
http://www.thebengalitimes.com/islam/2015/07/06/2026

ড. জাকির নায়েককে জিজ্ঞাসা করা হয়, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন, যার কোনো শেষ নেই শুরুও নেই। উত্তরে ড. জাকির নায়েক বলেন, সাধারণত এ প্রশ্নের উত্তরটি আমি আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে দিই। এভাবে যে, আমি বললাম, আমার বন্ধু জন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। সে হাসপাতালে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। আপনি বলতে পারবেন সন্তানটি ছেলে না মেয়ে?

ডা. জাকির নায়েক কয়েকবার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করার পরও কেউ উত্তর দেয়নি। তখন তিনি বলেন, এখানে ঘটনা হলো, জন একজন পুরুষ সে কিভাবে সন্তান জন্ম দেবে। যেহেতু সে পুরুষ তাই সে সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। তাই এ প্রশ্ন করাও বোকামি যে তার বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করাই উচিত নয়।

তবে কেউ যদি প্রশ্ন করে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন তাহলে আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার সংজ্ঞা হচ্ছে, তাকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি কারও সন্তান নন, তাকে কেউ জন্ম দেয়নি। যদি কোনো ইশ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রকৃত ইশ্বর নন। এ জন্য আমরা বলে থাকি, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তিনি ছাড়া কোনো আল্লাহ নেই। তিনিই এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সৃষ্টি হননি তাকে কেউ সৃষ্টিও করেনি। তার শুরুও নেই, শেষও নেই। তিনিই সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবকিছু তার ওপর নির্ভর করে। তিনি কারও ওপর নির্ভর করেন না। বিস্তারিত জানার জন্য ড. জাকির নায়েক তার ‘ইজ দ্যা কোরান গড ওয়ার্ড’ বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করেন।
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/islam/2015/07/06/2026#sthash.64YEFqbf.dpuf
ড. জাকির নায়েককে জিজ্ঞাসা করা হয়, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন, যার কোনো শেষ নেই শুরুও নেই। উত্তরে ড. জাকির নায়েক বলেন, সাধারণত এ প্রশ্নের উত্তরটি আমি আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে দিই। এভাবে যে, আমি বললাম, আমার বন্ধু জন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। সে হাসপাতালে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। আপনি বলতে পারবেন সন্তানটি ছেলে না মেয়ে?

ডা. জাকির নায়েক কয়েকবার প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করার পরও কেউ উত্তর দেয়নি। তখন তিনি বলেন, এখানে ঘটনা হলো, জন একজন পুরুষ সে কিভাবে সন্তান জন্ম দেবে। যেহেতু সে পুরুষ তাই সে সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। তাই এ প্রশ্ন করাও বোকামি যে তার বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। এ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করাই উচিত নয়।

তবে কেউ যদি প্রশ্ন করে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন তাহলে আমরা বলব, আল্লাহ তায়ালার সংজ্ঞা হচ্ছে, তাকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনি কারও সন্তান নন, তাকে কেউ জন্ম দেয়নি। যদি কোনো ইশ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রকৃত ইশ্বর নন। এ জন্য আমরা বলে থাকি, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তিনি ছাড়া কোনো আল্লাহ নেই। তিনিই এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সৃষ্টি হননি তাকে কেউ সৃষ্টিও করেনি। তার শুরুও নেই, শেষও নেই। তিনিই সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। সবকিছু তার ওপর নির্ভর করে। তিনি কারও ওপর নির্ভর করেন না। বিস্তারিত জানার জন্য ড. জাকির নায়েক তার ‘ইজ দ্যা কোরান গড ওয়ার্ড’ বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করেন।
- See more at: http://www.thebengalitimes.com/islam/2015/07/06/2026#sthash.64YEFqbf.dpuf
http://www.somewhereinblog.net/blog/Farhat889/29437533

আপনার হয়তো মানেন (কিছু মানুষ) যে সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন। দেখবেন আপনাদের
বেদ এই কথা বলছে। বেদ-এ আছে সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন।

আরও আছে- সৃষ্টিকর্তার কোনো প্রতিমূর্তি নেই, তার কোনো প্রতিমা নেই,
ফটোগ্রাফ নেই, ভাষ্কর্য নেই।

আশা করি বেদের এই সত্য বাণী আপনারা মানবেন।

আমি আমার দিক থেকে একটা মন্তব্য করি: আসুন আমাদের মধ্যে অমিলগুলো নিয়ে
দ্বিধাদ্বন্ধ না করে যা কিছু সাদৃশ্য আছে তাই নিয়ে চলি, একসাথে সেই সাদৃশ্য
 গুলো মেনে চলি যা আপনাদের ধর্মে ও আমাদের ধর্মের সাথে মিল রয়েছে। অমিলগুলো
 না হয় থাক। তাহলে আমি মনে করি আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব।


আমাদের মধ্যে প্রথম সাদৃশ্যটা কি?
আমাদের মধ্যে প্রথম সাদৃশ্যটা হলো: আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) এক। তার কোনো
মূর্তি নেই, তার কোনো প্রতিমা নেই, ফটোগ্রাফ নেই, ভাষ্কর্য নেই।


পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ্। আল্লাহ আমাকে ও
 আপনাদেরকে শান্তিতে রাখুন, সুস্থ্য রাখুন। আমীন (আল্লাহ তুমি মঞ্জুর
করুন)।




No comments:

Post a Comment

International