http://i-onlinemedia.net/archives/489
সামাজিক,
সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইভটিজিং বা নারী
উত্ত্যক্তের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ
ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশংকাজনকহারে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও ছাত্রী লাঞ্ছিত করার
ঘটনা। Eve শব্দটির অর্থ নারী এবং Tease শব্দের অর্থ বিরক্ত করা, প্রশ্ন করে
বিব্রত করা ইত্যাদি। সুতরাং Eveteasing শব্দের সমন্বিত অর্থ হ’ল নারী
উত্ত্যক্ত করা, বিরক্ত করা ইত্যাদি।১
বখাটে, দুর্বৃত্তদের দুর্বিষহ উপদ্রব সহ্য করতে না পেরে
ইতিমধ্যে অনেক তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গত এক মাসেই দেশের
বিভিন্ন স্থানে এ কারণে আত্মহত্যা করেছে অন্তত: ১৫ তরুণী। এভাবে প্রতিমাসেই
ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মাহুতি দিচ্ছে তরুণীরা। এমনকি বখাটেদের উপদ্রবে
অতিষ্ঠ হয়ে তরুণীদের বাবারাও আত্মাহুতি দিচ্ছেন। আবার অনেক তরুণী লোকলজ্জার
কারণে চোখ বুজে নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে বখাটেদের অত্যাচার। সমাজ ও জাতির
জন্য ইতিমধ্যেই তা এক প্রকার অশনি সংকেত হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। তরুণরা
ক্রমাগতভাবে এ সকল অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বিদেশী অপসংস্কৃতি এবং
নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইভটিজিং এবং নারী নির্যাতনের
শিকার হচ্ছে দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনের মেয়েরা।
দেশে প্রতিবছরই নানাভাবে নারী নির্যাতন বাড়ছে। একটি
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে দেশে ধর্ষণের শিকার
হয়েছে ৪৪৬ জন নারী, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬২ জনকে, ধর্ষিত হওয়ার পর
আত্মহত্যা করেছে অন্ততঃ ৫ জন, যৌতুকের শিকার হয়েছে ২৮৫ জন, যৌতুকের কারণে
স্বামীর হাতে খুন হয়েছে ১৯৪ জন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৬৩ জন,
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৪২ জন নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের
কারণে আত্মহত্যা করেছে ৯ জন। এ সময় ৭৮ জন গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার
হয়েছে। একই রিপোর্টে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে নারী নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার
হয়েছে ৫০২ জন নারী, ১৯৯৯ সালে ১৬৯০ জন, ২০০০ সালে ১৯৭৪ জন, ২০০১ সালে ৩১৪৯
জন, ২০০২ সালে ৫৭৯২ জন, ২০০৩ সালে ৫৬১৮ জন, ২০০৪ সালে ৫৯৮৬ জন, ২০০৫ সালে
১৪৮৮ জন, ২০০৬ সালে ৬০৫৪ জন এবং ২০০৭ সালে ৪৩৫৫ জন নারী নির্যাতন ও
সহিংসতার শিকার হয়েছে।২ অর্থাৎ
নারী নির্যাতনের হার প্রতিদিনই বাড়ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ইভটিজিং এবং
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নারী নির্যাতন যে আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই
বাহুল্য। প্রতিনিয়ত পত্রিকাতে এরূপ কোন না কোন ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নিম্নে এ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ফিরিস্তি পেশ করা হ’ল-
সামাজিক,
সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইভটিজিং বা নারী
উত্ত্যক্তের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ
ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশংকাজনকহারে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও ছাত্রী লাঞ্ছিত করার
ঘটনা। Eve শব্দটির অর্থ নারী এবং Tease শব্দের অর্থ বিরক্ত করা, প্রশ্ন করে
বিব্রত করা ইত্যাদি। সুতরাং Eveteasing শব্দের সমন্বিত অর্থ হ’ল নারী
উত্ত্যক্ত করা, বিরক্ত করা ইত্যাদি।১
বখাটে, দুর্বৃত্তদের দুর্বিষহ উপদ্রব সহ্য করতে না পেরে
ইতিমধ্যে অনেক তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। গত এক মাসেই দেশের
বিভিন্ন স্থানে এ কারণে আত্মহত্যা করেছে অন্তত: ১৫ তরুণী। এভাবে প্রতিমাসেই
ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মাহুতি দিচ্ছে তরুণীরা। এমনকি বখাটেদের উপদ্রবে
অতিষ্ঠ হয়ে তরুণীদের বাবারাও আত্মাহুতি দিচ্ছেন। আবার অনেক তরুণী লোকলজ্জার
কারণে চোখ বুজে নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে বখাটেদের অত্যাচার। সমাজ ও জাতির
জন্য ইতিমধ্যেই তা এক প্রকার অশনি সংকেত হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। তরুণরা
ক্রমাগতভাবে এ সকল অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বিদেশী অপসংস্কৃতি এবং
নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইভটিজিং এবং নারী নির্যাতনের
শিকার হচ্ছে দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনের মেয়েরা।
দেশে প্রতিবছরই নানাভাবে নারী নির্যাতন বাড়ছে। একটি
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে দেশে ধর্ষণের শিকার
হয়েছে ৪৪৬ জন নারী, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬২ জনকে, ধর্ষিত হওয়ার পর
আত্মহত্যা করেছে অন্ততঃ ৫ জন, যৌতুকের শিকার হয়েছে ২৮৫ জন, যৌতুকের কারণে
স্বামীর হাতে খুন হয়েছে ১৯৪ জন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৬৩ জন,
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৪২ জন নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের
কারণে আত্মহত্যা করেছে ৯ জন। এ সময় ৭৮ জন গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার
হয়েছে। একই রিপোর্টে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে নারী নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার
হয়েছে ৫০২ জন নারী, ১৯৯৯ সালে ১৬৯০ জন, ২০০০ সালে ১৯৭৪ জন, ২০০১ সালে ৩১৪৯
জন, ২০০২ সালে ৫৭৯২ জন, ২০০৩ সালে ৫৬১৮ জন, ২০০৪ সালে ৫৯৮৬ জন, ২০০৫ সালে
১৪৮৮ জন, ২০০৬ সালে ৬০৫৪ জন এবং ২০০৭ সালে ৪৩৫৫ জন নারী নির্যাতন ও
সহিংসতার শিকার হয়েছে।২ অর্থাৎ
নারী নির্যাতনের হার প্রতিদিনই বাড়ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ইভটিজিং এবং
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নারী নির্যাতন যে আরো অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই
বাহুল্য। প্রতিনিয়ত পত্রিকাতে এরূপ কোন না কোন ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নিম্নে এ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ফিরিস্তি পেশ করা হ’ল-
No comments:
Post a Comment