একটি আজবপত্র
মোসাঃ মায়মুনা খাতুন
শ্রেণিঃ দ্বাদশ
স্ত্রী স্বামীর কাছে চিঠি লিখেছেন, কিন্তু দাঁড়ি-কমা সম্পর্কে তাঁর কোনো জ্ঞান না থাকায় ভুল স্থানে দাঁড়ি-কমা বসাতেই চিঠি হয়েছে আজবপত্র।
পত্রটি এরূপঃ
‘ওগো, সারাটা জীবনই শুধু বিদেশেই কাটালে এই ছিল। তোমার কপালে আমার পা, আরও ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায় না ছাগলটা, সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতে থাকে তোমার বাবা। বারো মাস অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের চাল। স্থানে স্থানে ছিদ্র হইয়া গিয়াছে গাভীর পেট। দেখিলে মনে হয় বাচ্চা দিবে গয়লা চাচা। রোজ আধা কেজি করিয়া দুধ দেয় পাচক মামা। রান্না করিতে গিয়া হাত পুড়াইছে কুকুর ছানা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়াছে রহিমের মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে রহিমের বাবা। বারবার অজ্ঞান হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ি আসিবে না। আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।
ইতি
তোমাদের পেয়ারের ফুলবানু
[ওগো,
সারাটা জীবন শুধু বিদেশেই কাটালে- এই ছিলো তোমার কপালে। আমার পা আরও ফুলিয়া উঠিয়াছে। উঠানটা জলে ডুবিয়া গিয়াছে। ছোট খোকা স্কুলে যাইতে চায় না। ছাগলটা সারাদিন ঘাস খাইয়া ঝিমাইতে থাকে। তোমার বাবা বারো মাস অসুখে ভুগিতেছে। বাগানটা আমে ভরিয়া গিয়াছে। ঘরের চাল স্থানে স্থানে ছিদ্র হইয়া গিয়াছে। গাভীর পেট দেখিলে মনে হয় বাচ্চা দিবে। গয়লা চাচা প্রতিদিন আধা কেজি করিয়া দুধ দেয়। পাচক মামা রান্না করিতে গিয়া হাত পুড়াইয়াছে। কুকুর ছানা সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে। বড় খোকা দাড়ি কাটিতে গিয়া গাল কাটিয়াছে। রহিমের মা প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে। রহিমের বাবা বারবার অজ্ঞান হইয়া যাইতেছে। ডাক্তার সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায়, তুমি বাড়ি আসিবে। না আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।
ইতি
তোমার পেয়ারের ফুলবানু
No comments:
Post a Comment