হিন্দু ধর্মে সৃষ্টিকর্তা এক!!!
http://www.istishon.com/node/8701
১. ভগবদ গীতায় ঈশ্বরের ধারণা :
''সেসব লোক যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা, তারাই মূর্তি পূজা করে।'' (ভগবদ গীতা ৭:২০)
২. উপনিষদে ঈশ্বরের ধারণা
আগে বলে নেই উপনিষদ কি ?? উপনিষদ হচ্ছে হিন্দু ভাই বোনদের কাছে বেদের পরে , সবচেয়ে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ । সংস্কৃত ভাষায় , 'উপ' অর্থ 'কাছাকাছি', 'নি' অর্থ 'নিচে' এবং 'ষদ' অর্থ ছাত্র । এখন আসল কথায় আসি ,
ছান্দোগ্য উপানিষদ , প্রাপাথাকা - অধ্যায় ৬, শ্লোক ২, "এক্কাম এবাদিতিয়াম"অর্থাৎঃ ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় ।
শ্বেতাশ্বত্র উপনিষদ অধ্যায় ৬ , শ্লোক ৯ "না চাস ইয়া কাসচিজ জানিতা না কাধিপাহ" অর্থাৎঃ" ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই, তার কোন প্রভু নেই"।
শ্বেতাশ্বত্র উপানিষদ, অধ্যায় ৪, শ্লোক ১৯ "na tasya pratima asti" (না তাস্যা প্রাতিমা আস্তি) অর্থাৎঃ" ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই।"
৩. বেদে ঈশ্বরের ধারণাঃ বেদ হল হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। বেদ শব্দটি এসেছে "বিদ" থেকে যার অর্থ "জানা, পবিত্র জ্ঞান"। mainly প্রধানত চার ধরনের বেদ রয়েছে,
ক। রিগবেদ
খ। অথর্ব বেদ
গ। যজুর্বেদ ।
ঘ। সামবেদ ।
এখন আমরা দেখি বেদ অনুযায়ী ঈশ্বরের ধারণা ,
"ন তস্য প্রতিমা আস্তি" অর্থাৎ "তার কোন আকার নাই" [যজুর্বেদ,৩২:৩]
"তিনি উজ্জ্বলতায় সমাসীন । তিনি অমূর্ত নিরাকার, শরীর-বিহিন এক পবিত্র সত্তা, যাকে কোন অশুভ ভেদ করে নাই । তিনি সুদূরদর্শী, প্রজ্ঞাময়, সর্বব্যাপী সয়ম্ভু, যিনি যথার্থভাবে অনন্ত সময়ের জন্য লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করেছেন ।" [যজুর্বেদ-৪০:৮]
ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।"
যজুর্বেদ অধ্যায় ৩২, শ্লোক ৩ "na tasya pratima asti"( না তাস্যা প্রাতিমা আস্তি) অর্থাৎঃ "ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, মূর্তি নেই, ছবি নেই।"
যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, শ্লোক ৯ “Andhatma pravishanti ye asambhuti mupaste” (আন্ধাস্মা প্রাভিসান্তি ইয়ে আসাম্ভুতি মুপাস্তে) আন্ধাস্মা মানে অন্ধকার, প্রাভিসান্তি মানে প্রবেশ করা, আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু (পানি, আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদি) মুপাস্তে মানে উপাসনা করা।
অর্থাৎঃ "তারা অন্ধকারে যাচ্ছে যারা আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু (পানি, আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদির) উপাসনা করে"
রিগবেদ গ্রন্থ ৮, পরিচ্ছেদ ১, শ্লোক ১ এ বলা হয়েছে ""Ma cid anyad vi sansata sakhayo ma rishanyata""অর্থাৎ "বন্ধুগণ, একমাত্র ঈশ্বরকে ছাড়া কার ও উপাসনা করো না, শুধুমাত্র উনার ই প্রশংসা করো ।"
"মা চিদান্যাদভি শাংসাতা " অর্থাৎ "হে বন্ধুগণ, সেই একমাত্র ঐশী সত্তা ছাড়া আর কারো উপাসনা করো না ।" [ঋগ বেদ সংহিতি, ভলিউম-১১, পৃষ্ঠা ১ ও ২ ।
হিন্দু বেদান্ত সুত্র এর ব্রক্ষা সুত্রাঃ "একাম ব্রহাম, দ্ভিতিয়া নাস্তে নেহ না নাসতে কিনচান " অর্থাৎ "ঈশ্বর, কেবলমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই; কেউ নেই, কেউ নেই, মোটেই কেউ নেই।"
এখন আমরা আশা করি বুঝতে পারলাম যে , হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী , ঈশ্বর মাত্র একজন। আমাদের শুধু তার ই উপাসনা করা উচিত।
এবার আসুন দেখি, কুরআনে আল্লাহ্ বলেন,
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [সূরা ইখলাস, ১১২:১-৪]
স্থির করো না আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য। তাহলে তুমি নিন্দিত ও অসহায় হয়ে পড়বে। তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। [সূরা বনী ইসরাইল, ১৭:২২-২৩]
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। [সূরা বাকারা, ২:২২]
আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই। [সূরা বাকারা, ২:১৬৩]
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। [আল মায়িদাহ, ৫:৯০]
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। [আন নিসা, ৪:৪৮]
আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। [আয্-যুমার, ৩৯:৬৫]
আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও। [সূরা বাকারা, ২:১৭০]
তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়। কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে। [সূরা মরিয়াম, ১৯:৮১-৮২]
সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব। [সূরা মরিয়াম, ১৯:৬৮]
যখন তারা উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছিলে? অথচ এগুলো সম্পর্কে তোমাদের পুর্ণ জ্ঞান ছিল না। না তোমরা অন্য কিছু করছিলে? জুলুমের কারণে তাদের কাছে আযাবের ওয়াদা এসে গেছে। এখন তারা কোন কিছু বলতে পারবে না। [আন নামল, ২৭:৮৪-৮৫]
হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সূরা বাকারা, ২:২০৮]
অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। [সূরা বাকারা, ২:২০৯]
আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের জ্ঞান দান করুন । আমিন ।
https://www.facebook.com/notes/md-nazmul-haque/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%95/357068564352617?comment_id=3665268&offset=2&total_comments=3
No comments:
Post a Comment