Jagrotobibek24

তথ্য, বিনোদন, সমাজ, বিজ্ঞান ও সাহিত্য সমৃদ্ধ একটি সুন্দর ব্লগ

Sponsored by: VINNOMATRA

GoRiseMe.com

Followers

Tuesday 17 July 2018

চারিদিকে যৌনসন্ত্রাসের হাতছানি

চারিদিকে যৌনসন্ত্রাসের হাতছানি
মোহাম্মদ অংকন




মাদের দেশে একজন নারী যখন গণপরিবহনে পা রাখছেন, তখন পেছন থেকে গাড়ির কন্ডাক্টরের হাত নারীর শরীরে গিয়ে লাগছে। পরিবহনে অযাচিত পুরুষেরা ভীড়ের মধ্যে নারীটির যৌনাঙ্গে হাত দিচ্ছে। অসহায় নারী কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না তখন।  কেননা, যদি জনগণ তার প্রতিবাদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাকেই ‘কলঙ্কিত’ বলে আখ্যায়িত করে! তারপরও অনেকাংশে সাহসী নারীরা প্রতিবাদ করছেন; কিন্তু দৃশ্যত কেউই এগিয়ে আসছে না।

নারীরা দলবেঁধে গার্মেন্টস ও কারখানায় কাজ করতে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নে অংশীদারিত্ব করছেন। কিন্তু বেহায়া সুপারভাইজার, মালিকেরা নারীদের যৌনতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। যে নারীটি সুন্দরী, তাকে বেতন বৃদ্ধির প্রলোভন দেখিয়ে দিনে-দুপুরে ইজ্জ্বত হরণ করছে। নিরুপায় নারী দরিদ্র পরিবারের দিকে তাকিয়ে মুখ বুঝে সহ্য করছে যৌনতার সকল যন্ত্রণা। প্রতিবাদ করলে চাকরি থাকবে না, শহর থেকে চলে যেতে হবে। আবার প্রতিবাদের কথা গড়াতে গেলে সহকর্মীরাই বরং ‘কলঙ্কিত’ বলে আখ্যায়িত করবে। তখন আর বেঁচে থাকার মত পরিস্থিতি থাকবে না হয়তো।

বাংলাদেশ নারী শিক্ষায় ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। একটা সময় পরিবার মেয়েদের রক্ষণশীল করে রাখত। কিন্তু এখন সে প্রবণতা আর নেই। সব বাবা-মাই চান তার মেয়েটি শিক্ষিত হোক। কিন্তু শিক্ষার লেবাসধারী শিক্ষক কি করছে? পরীক্ষায় বেশি নাম্বার দেওয়ার আশ্বাসে, ফ্রি প্রাইভেট পড়ানোর লোভে একাকী শ্রেণিতে কমলমতি ছাত্রীকে ধর্ষণ করছে। সমাজে মুখ দেখাতে না পেরে সেই ছাত্রী আত্মহত্যা করছে। অনেকাংশে শিক্ষকই তাকে হত্যা করে শ্রেণির ফ্যানের সাথে ঝুঁলিয়ে দিচ্ছে। ঠিক এভাবেই যৌনস্ত্রাসের কবলে পড়ে ঝরে যাচ্ছে দেশ হতে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রভাবশালী শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনতে পারছে না রাষ্ট্রের কেউ। দেশের প্রচলিত আইনও যেন এখানে লাঞ্চিত হচ্ছে।

বলা চলে, বর্তমানে আমাদের পুরুষশাষিত সমাজে নারীদেরকে উত্যক্ত করা এক ধরনের কালচারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। নারীরা একাকী নিরাপদে কোথাও যেতে ভয় পাচ্ছে। বাবা-মা তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল-কলেজে রেখে আসছেন আবার ছুটি হলে বাড়ি নিয়ে আসছেন। দেশের যুবকেরা শিক্ষিত হচ্ছে; কিন্তু তাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন আসছে না। তাদের মাঝে মুল্যবোধচর্চার বিষয়টি বিলুপ্তি ঘটতে চলেছে। যেখানে যৌনতা সেখানেই তারা পা বাড়াচ্ছে। আজকাল যুবকেরা স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের আশপাশে ঘুরছে। বিনোদনের আশ্বাস দিয়ে সহপাঠিকে পার্কে নিয়ে যাচ্ছে। জোড়পূর্বক ভালবাসা আদায় করার চেষ্টা করছে। রাতবিরাতে মেয়েদের দেখে টোন কাটছে। এরকম নানা অশালিন কাজকর্ম করে তারা প্রতিনিয়ত বাড়ি ফিরছে।কিন্তু পরিবার তাদের বখে যাওয়া সন্তানদের দেখাভালের কোনো প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না। 
লক্ষণীয় যে, পাশ্চাত্য ভাবাদর্শে আজকের কিশোর ও যুবকেরা উগ্র ফ্যাশনমুখী। নারীদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য চুলের কাটিং দিচ্ছে চলচ্চিত্রনায়ক, তারকা খেলোয়ারদের মত করে। পোষাক-পরিচ্ছেদে নেই কোনো সামাজিকতা। তারা সিনেমাটিক উপায়ে সমবয়সী নারীদেরকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে। প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে অস্ত্রের মুখে ফেলছে সেই নারীকে। যাত্রাপথে পথ আগলে ধরছে। অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে।ছবি তুলে ইডিট করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছে। নারীরা তা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর পথ বেঁচে নিচ্ছে। কিন্তুবিচার হচ্ছে না সমাজের চিহ্নিত বখাটেদের। আর সবাই ঐসব আত্মহত্যাকে অপমৃত্যু কিংবা দূর্ঘটনা বলেই চালিয়ে দিচ্ছে। 

সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি দেখলাম। যেখানে দেখা যাচ্ছে- একজন পুরুষ ডাক্তার ও একজন মহিলা ডাক্তার একজন যুবতীর অপারেশনের কাজ করছেন। সেখানেসবাই মন্তব্য করছে- দেশে কি মহিলা ডাক্তারের বড়ই অভাব পড়েছে? কেন একজন পুরুষ ডাক্তার একজন যুবতীকে ব্যবচ্ছেদ করবে? এখানে কি নারীর ইজ্জ্বত লুণ্ঠিত হচ্ছে না? এই পরিস্থিতিতে হয়তো কেউ বলতে পারে- আমাদের সমাজের কিছু কিছুলেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ভাল না। যেখানে জীবন-মরণের প্রসঙ্গ, সেখানে যৌনতাকে টেনে আনছে। জীবন আগে না যৌবন? একজন ডাক্তারের চিকিৎসাশাস্ত্রকে যৌনতায় নিয়ে যাচ্ছে। এ কথার বিপরীতে একটা কথাই আসে- যৌবনটাই আগে।শত শত নারী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যৌবন বাঁচাতে জীবন দিয়েছে। অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী একই পথ বেঁছে নিয়েছে- এমনটাই গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। আর দেশে কি সত্যই নারী ডাক্তারের অভাব দেখা দিয়েছে? চিকিৎসাশাস্ত্র এটাকে কি বলছে তা আমার বোধগম্য নয়। তবে লৌকিকদৃষ্টিতে এটা যৌনতা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।ধর্মীয়শাস্ত্রীয় বোধহয় একই কথা বলবে।
আজকাল নামিদামি ও উচ্চ ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের নিয়ে অভিযোগ গুরুত্বর। অনেকাংশে তাদেরকে ভুয়া ডাক্তার বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। এক মিনিটে এক হাজার টাকা আয় করা, বেশি রোগী দেখতে গিয়ে ভুল চিকিৎসা করা, রিপ্রেজেন্টদের সাথে যোগসুত্র করে নকল ঔষুধ চালানোসহ নানা কারণে দেশবাসি তাদের উপর ক্ষীপ্ত। এসব ব্যবসামুখী ডাক্তারদের বিতাড়িত করতে দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। আমি এই আন্দোলনের সাথে আরেকটি প্রসঙ্গ যোগ করে দিতে চাই- যৌনতাকামী ডাক্তারদেরকেও অপসারণ করা হোক। কেননা, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগও শোনা গিয়েছে। তাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন পুরুষ ডাক্তারের কাছে কখনই নারী রোগী নিরাপদ নয়। কেননা, চারিদিকে যৌনসন্ত্রাসের হাতছানি তীব্রতর। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদেরকে বিশ্বাস করা আর শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়া একই ধাচের।

দুটি জিনিস আমাদের দেশকে বিদেশের মাটিতে খুব ভালভাবে তুলে ধরে। একটি হল রাজনীতি, অপরটি খেলাধুলা। রাজনীতির প্রসঙ্গ আমি এই মুহূর্তে বাদ রাখলাম। খেলাধুলা নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক। একজন তারকা খেলোয়ার আমাদের দেশের জন্য গর্ব, তার কাছে আমরা সবসময় ভাল কিছুই আশা করি। কিন্তু কখনই নারীদের নিয়ে যৌনতা আশা করি না। আপনারা অবগত আছেন, বাংলাদেশে কয়েকজন ক্রিকেট তারকা তাদের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে নারীদের কলঙ্কিত করেছেন। সেসব নারীরা এখন স্ত্রীর মর্যাদা চায়। কিন্তু তারা কিভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে? তারা তো একাধিক সর্ম্পকে জড়িত বলে মনে হচ্ছে। কোনটা কখন কিভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে তা আর তো আমরা জানি না। এর মধ্যে দুএকটা আমাদের চোখে পড়ছে বলেই এ নিয়ে দুটো কথা বলার সুযোগ আসছে। কিন্তু আমরা সুশীল সমাজ যতই তাদরকে নিয়ে সমালোচনা করিনা কেন, তারা কি আদৌ সুধরাবে? 

রাজনীতির প্রসঙ্গটি আমি এড়িয়ে যেতে চাইলেও রাজনৈতিক ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেদিনখবরে পড়লাম- ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ৭২ বছর বয়সী সরদার মো. শাহ-আলমের স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে এবং তার স্ত্রীর ‘নির্যাতনের পর’ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের একজন নেত্রী।ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রীরভাষ্য, তিনি জেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বে আছেন। আর এই সুবাদে পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ-আলম তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেত্রীটি কাতরাচ্ছেন আর বলছেন, ‘আসলে আমরা মেয়েরা কারও কাছে নিরাপদ নই। মনে করেছিলাম, এই বয়স্ক লোকটার কাছে আমি নিরাপদ থাকব। কিন্তু তিনিও আমাকে নিরাপদে রাখলেন না।’ 

যাইহোক, ভুক্তভুগি মহিলাটি অনেক দেরীতে হলেও সত্য একটি কথা বলেছেন- ‘আসলে আমরা মেয়েরা কারও কাছে নিরাপদ নই’। ঐ বোনকে আমি বলব,আমাদের এ সমাজে নারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারটি অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বলা চলে, রক্ষকই এখন ভক্ষক। যাইহোক, আমরা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে কি বলে দাবি করব? বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা মাত্র? ঠিক এমনটি ভাবার কারণে নারীরা যৌনতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অপরাধীরা ভাবছে- আইন তো আমার হাতের মুঠোয়! টাকা ঢাললেই সবশেষ। তাই যদি না ভাবত তাহলে বাবা বয়সী কোনো পুরুষ যুবতী নারীটিকে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করত না। ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে পিছুপিছু রাখত না। সবই বিবেক আর বুদ্ধির অধঃপতন।আমাদের সমাজের সমাজপতিরা যখন যৌনতা, ধর্ষণে লিপ্ত, তখন যুবকেরা না হয় একটু ইভটিজিং করলই! আর ছাত্রলীগ, যুবলীগকর্মী হলে তো কোনো কথাই নেই!

বাংলাদেশের জাতীয়কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছিলেন- ‘বিশ্বে যাহা কিছু মহান ও চির কল্যাণ কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ নারীবাদী কবি নজরুলের কথায় আমরা যদি একাত্বতা পোষণ করেই থাকি, তাহলে আমাদেরকে নারীর যথাযথ মর্যাদা দিতে এখনই কাজ করতে হবে। অতীত থেকেই নারীরা পুরুষের পাশে আছে, সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ পেলে ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু বর্তমান সভ্য যুগে এসে যদি নারীরা যৌবন হারানোর ভয়ে ঘরে বন্দি হয়ে যায়, তাহলে এই বিশে^র সকল উন্নয়ন যাত্রা ধ্বংস হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। যেখানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে আর আমরা সেখানে যৌনতাকে প্রবেশ করিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করছি। তাদের মেধাকে বিকৃত করছি। তাহলে এ সমাজের গতিপ্রকৃতি কি তার নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে? তাই নারীর পূর্ণ মর্যাদা প্রদান ও স্কুল-কলেজ, কর্মক্ষেত্রসহ সব জায়গা হতে যৌনসন্ত্রাসকে পরিহারে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে লোলুপদৃষ্টি সর্ম্পূণ পুরুষদেরকে আমাদের সমাজ হতে বয়কট করতে হবে। মনে রাখবেন, সব সময় ধরাবাঁধা আইন দিয়ে সব কাজ হয় না। সম্মিলিত প্রচেষ্টারও প্রয়োজন পড়ে। আর সেই প্রচেষ্টার নাম হল- সামাজিক আন্দোলন। এই সমাজকে নারীদের বসবাসযোগ্য করতে আমি সামাজিক আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ দেখছি না।এ ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতনও হতে হবে।

আর কয়েকটি কথা লিখেই আমার এ লেখা শেষ করব। নারীরা যখন বাস ভরে কর্মক্ষেত্রে যান, বিদ্যালয়ে পাঠদান করান, নার্স হয়ে রোগীর সেবা প্রদান করেন, আমার কাছে তখন মনে হয় তারা আমাদের দেশের রত্নগর্ভা, আমাদের প্রত্যেকটি সন্তানের মমতাময়ী মা। এসব মায়ের হাতেই উন্নয়নের চাবিকাঠি। তারা পরিবারকে আগলে রেখে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে শারীরিক, মানসিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। 

আবার যখন দেখি মেয়েরা দলবেঁধে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে, নিরাপদে বাড়ি আসছে, তখন মনে হয় তারা আমার বোন। তারা স্বপ্ন বুনছে নিজের জন্য ও নিজ দেশের জন্য। হয়তো বড় হয়ে কেউ ডাক্তার হবে, কেউ শিক্ষক হবে, কেউ একজন আর্দশ মা হবে। কিন্তু যখন পত্র-পত্রিকার পাতা খুলে দেখি, যখন টেলিভিশন খুলে দেখি- স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তখন নিজের ক্রোধ ও ক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। চিৎকার করে বলি, কোন সে নরপিচাশ এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত? তাদের কি কোনো বিচার হয় না? তাদের কি মা-বোন নেই? 

পরিশেষে বলতে চাই, যারা যৌনতাকে পুজি করে পুরুষত্ব প্রমাণ করতে চায়, তাদেরকে সমাজ হতে বিতাড়িত করা হোক। নারী উত্যক্তকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে করে ওদের মাঝে ভয়ভীতি বিরাজ করে। ক্ষমতাসীন বলে কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রবণতাকে দূর করতে প্রশাসনকেও কঠোর থেকে কঠোর হতে হবে। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগই পারে দেশ হতে যৌনতার হাতছানিকে মুছে ফেলতে। মাদকাসক্তদেরকে যেভাবে ক্রশফায়ার দেওয়া হচ্ছে, তেমনি নারী লাঞ্চিতকারীদেরকেও ক্রশফায়ার দেওয়া হোক। পাশাপাশি আমাদেরকে ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলতে হবে। একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়তে যৌনতা বাধাস্বরুপ কথাটিকে আমলে নিয়ে সম্প্রীতিময় সমাজ ওদেশ গড়ে তুলতে আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা সুশীলেরা চাই, যৌনতার কালোহাত আগুনে ঝলসিত হোক। একটি পরিচ্ছন্ন জীবনব্যবস্থা সকলের জন্য নিশ্চিত হোক। নারী তার যৌনতাকে সংবরণ করে পুরুষের সাথে ভাগ্যেন্নয়নে অংশীদার হোক। সম্প্রসারিত হোক নারীর দূরে সম্ভাবনার পথচলা।

লেখক: নারীবাদী লেখক ও কলামিস্ট, ঢাকা।


No comments:

Post a Comment

International