উপলব্ধি!
১/নামাজ পড়োনা তো দাঁড়ি রেখে লাভ কী। এটা তো ফ্যাশন হলো।
২/পর্দা করলে কী, নামাজ তো পড়েনা। কী আমার পর্দাবিবি।
৩/নামাজ পড়লে কী হবে, পর্দা তো করোনা। এই নামাজে লাভ কী !
৪/হিজাব পড়লে কী হবে তোমার পুরোপুরো থুতনী দেখা যায়, এটা পর্দা হলো ?
৫/তোমার যে নামাজ হয় না এটা জানো ? কারণ তুমি ভ্রু প্লাক করাে।
৬/তোমার এটা কী কোনো পর্দা হলো ? এসব হলো রঙ্গীলা পর্দা। এরচে না করাই ভালো।
৭/অমুকে নামাজ পড়ে অথচ রোজা রাখেনা, এটা কিছু হইলো? এই নামাজে লাভ কী !
৮/নামাজ রোজা করলে কী হবে। তুমিতো এক নম্বরের মিথ্যুক। তোমার নামাজ রোজা কিছুই হয়না। তোমার মতো এতো নামাজ পড়িনা কিন্তু জবানে পাকা।
৯/এতো আমল করে লাভটা কী। খাও তো সুদ। সুদী ব্যাঙ্কের চাকরীর টাকায় এসব করে কোনো লাভ নাই। জাহান্নাম কনফার্ম থাকো।
এই জাতীয় কথা যারা বলেন তাদের বিনয়ের সাথেই বলছি।
আপনারা নিজেদের আমলে ১০০% সন্তুষ্ট তো ?
আপনার জান্নাতুল ফিরদাউস কনফার্ম তো ?
নিশ্চয়ই আপনি জান্নাতি কন্যা / জান্নাতী ব্যক্তি ?
উত্তরটা যদি 'না' হয়। তাহলে ইবলিশকে সাহায্য করা বন্ধ করুন।
আর উপরের বাক্যগুলো এভাবে বলুন...
১/মাশাআল্লাহ, দাড়ি রাখছো দেখে ভালো লাগলো। এবার নামাজটাও ধরে ফেলো ভাই।
২/ মাশাআল্লাহ, কী সুন্দর পর্দা করছো । নামাজটা ধরলে একেবারে সোনায় সোহাগা হতো।
৩/ মাশাআল্লাহ, নামাজের মতো কঠিন একটা কাজ করতে পারছো। ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রিই হয়তো তোমাকে পর্দায় দেখবো। দোয়া করি, আল্লাহ সহজ করে দিন।
৪/হিজাবটা যদি আরেকটু এরকম করতে আপু, গলাটা দেখা যাচ্ছে তো তাই বললাম।
৫/ মাশাআল্লাহ, তুমি নামাজ পড়ো ! জানো তো, নামাজী ক্ববীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। ভ্রু প্লাক করা কিন্তু ক্ববীরা গুনাহ। তোমার ভ্রু তো এমনিতেই মাশাআল্লাহ।
৬/ পর্দাটা রঙীন না করে কালো করলে ভালো হতো আপু। রঙীন বোরকা আকর্ষণীয় হয় জানো তো । তোমার পর্দার আগ্রহ দেখে বললাম, মনে কষ্ট নিও না।
৭/নামাজ যেমন ফরয রোজাও তেমন ফরয। আল্লাহ তোমাকে রোজার ফরয আদায় করার তৌফিক দিন।
৮/ মাশাআল্লাহ নামাজ রোজা সবই করছো। খুবই ভালো। অনুরোধ করবো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলোনা প্লিজ। জানো তো, মিথ্যা সব গুনাহের মা। তোমাকে আসলে মিথ্যা বলা মানায় না।
৯/ মাশাআল্লাহ, তোমার আমল দেখলে হিংসা হয়, জানো ? তবে সাবধান, সুদ থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসো। যে সুদ খায়, যে সুদ দেয়, যে সুদের হিসাব করে, যে তার সাক্ষী থাকে তাদের সবার উপর আল্লাহর লানত। তুমি আমলদার মানুষ, তাই মনে করিয়ে দিলাম।
এগুলো দাওয়াতী বচন। রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো সুবচন এবং ভাষার মাধুর্য যা শ্রবণে অসংখ্য পথভোলা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে।
আজ উম্মতের দাবীদার আমরা এর বিপরীত ভাষায় কথা বলার চর্চা করছি আর সবাইকে ইসলাম থেকে দুরে ঠেলে দিচ্ছি। আমরা ভুলে গেছি, মালিকী ইয়াওমিদ্দীন কেবল স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাল্লাহুতা'লা। রাসুল সাঃ এর উম্মতেরা নয়। তবে তারও আগে আমরা অন্তত কনফার্মড হই যে, আমরা তাঁর উম্মত হতে পেরেছি কিনা তারপর বরং সুখস্বপ্ন দেখি।
উম্মত মানে হলো অনুসরনকারী। যে রাসুল সাঃ কটাক্ষ করে কোনোদিন কাউকে একটি দুর্বাক্য বলেন নি, তার উম্মতের দাবীদার হয়ে কেউ যদি দাওয়ার নাম দিয়ে আইডি সাজায় আর বলে, আমার আইডি থেকে অমুক অমুক দলের যারা আছেন তারা বের হয়ে যান। সেই তিনি আদৌ উম্মাহর অংশ কিনা আমি জানিনা। আল্লাহ ভালো জানেন।
প্রিয় ভাই/বোনেরা, হাদীস ঘাটুন। তাহলে জানবেন..
বারসীসা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
বেশ্যা রমনী বিড়ালকে পানি পান করিয়ে জান্নাতি হয়েছে।
হামজা রাঃ এর কাতিল একজন সাহাবী হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।
অনেক সাহাবী গুমরাহ হতে হতে মুরতাদও (আল্লাহর পানাহ) হয়ে গেছে।
অনেক সাহাবী রাসুল সাঃ নিকটতম থেকে দুরতম হয়ে গেছে।
অনেক সাহাবী দুরতম থেকে নিকটতম হয়ে গেছেন।
কাউকে মন্দনামে ডাকার আগে একশবার ভাবুন।
রাসুল সাঃ এর কথা স্মরণ করুন। তিনি বলেছেন , " যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।"
" অমুক খারাপ, আমি ওর চে ভালো " এরচে ধ্বংসাত্মক অনুভূতি আর নাই।
মহান আল্লাহ, আমাদের ইবলিশি ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন, আমিন।
No comments:
Post a Comment