হাশরের মাঠে হিসাবের একটি নমুনা!!!
এক মাদ্রাসার ছাত্র তার হুজুরকে প্রশ্ন করল, "হুজুর,
হাশরের দিন বান্দার হিসাব-নিকাশ কেমন হবে?"
ছাত্রের কথা শুনে হুজুর কিছুক্ষণ বসে থাকলেন। তারপর নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা বের করলেন সেই টাকা ছাত্রদের মধ্যে নিম্নরুপে বন্টন করে দিলেন -
১ম জনকে দিলেন - ১০০ টাকা
২য় জনকে দিলেন - ৭৫ টাকা
৩য় জনকে দিলেন - ৫০ টাকা
৪র্থ জনকে দিলেন - ২৫ টাকা
৫ম জনকে দিলেন - ১০ টাকা
৬ষ্ট জনকে দিলেন - ৫ টাকা
এবং প্রশ্নকারী ছাত্রকে দিলেন মাত্র ১ টাকা। প্রশ্নকারী
ছাত্র মাত্র এক টাকা পাওয়ায় তার মন খারাপ হয়ে গেল।
হুজুরের এমন অসম বন্টনে সে ভীষণ কষ্ট পেল।
সে মনে মনে ভাবল, হুজুর তাকে সবার সামনে এভাবে অপমান করলেন কেন?
এদিকে হুজুর টাকা বন্টন শেষে সেই ছাত্রের মন খারাপের বিষয়টা টের পেলেন। তিনি সব ছাত্রদের মাঝে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, আজ তোমাদের ছুটি!
তোমাদের যেই টাকা দেওয়া হল সেটা পুরোপুরি খরচ করবে এবং আগামি সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মাদরাসার রান্নাঘরে সকাল ১০ ঘটিকায় তোমরা উপস্থিত হয়ে হিসাব দেবে।
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ছাত্ররা সবাই উপস্থিত হল। হুজুর আগ থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুজুর সবাইকে উপস্থিত দেখে খুশী হলেন।
সবাই আসার পর হুজুর বললেন, তোমরা ১জন করে এই তাওয়াইতে দাড়িয়ে আমার দেওয়া টাকা কোথায় কোথায় খরচ করেছ, তার হিসাব দিবে।
প্রথমে এগিয়ে এল সে ছাত্র, যাকে ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সে তাওয়াই-এ দাড়ানোর পর হুজুর তাকে প্রশ্ন করলেন আমার দেওয়া টাকা তুমি কিভাবে খরচ করেছ তার হিসাব দাও।
এমনিতেই আগুনে উতপ্ত তাওয়া তার উপর খালি পা। ছাত্র এক পা নামায়, আরেক পা তুলে। এভাবে অনেক কষ্টে তাওয়াই দাড়িয়ে হিসাব দিতে লাগল।
১০ টাকায় এটা কিনেছি,২০ টাকায় এটা কিনেছি, এভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করে হিসাব দিল সে।
তারপর এলো যাকে ৭৫ টাকা
দিয়েছিলেন, তার হিসাব দেওয়ার পালা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে সবাই নিজেদের টাকা খরচের হিসাব উত্তপ্ত তাওয়াইতে দাড়িয়ে দিয়ে গেল।
সবার শেষে সে ছাত্র এলো যাকে ১ টাকা দিয়েছিল।
সে হাসিমুখে দৌড়ে এসে তাওয়াই-এ দাড়িয়ে তার ১ টাকার হিসাব দিয়ে হুজুরের সামনে দাড়ালো, বাকিরা তখন পুড়া পায়ে পানি ঢালছে, তখন সে দাড়িয়ে হাসছে।
তখন হুজুর বললেন, এই হলো হাশরের মাঠের হিসাবের একটি নমুনা। যার ক্ষমতা ও সম্পদ যত কম তার হিসাব তত সহজ।
হে আল্লাহ্, আপনি আমাদের হিসাবকে সহজ করে দিন। আমিন।
-সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment