Jagrotobibek24

তথ্য, বিনোদন, সমাজ, বিজ্ঞান ও সাহিত্য সমৃদ্ধ একটি সুন্দর ব্লগ

Sponsored by: VINNOMATRA

GoRiseMe.com

Followers

Thursday 24 December 2015

সমঝোতা (হিন্দু মুসলিম)

সমঝোতা (হিন্দু মুসলিম)



পানির অপর নাম জীবন
বিপরীত থেকে চিন্তা একজন বলল-
পানির অপর নাম মরণ।
----------
এখানে দুটোই ঠিক।
এখন বিবেচ্য বিষয়-
কোন ব্যক্তিটি পজেটিভ, ভালো চিন্তা করে?
যে পানিকে জীবনের সাথে তুলনা করছে
নাকি যে ব্যক্তি পানিকে মরণের সাথে তুলনা করছে।
-----------------------*-------------------
পজেটিভভাবে চিন্তা করুন,
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
================
মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন
২৪/১২/২০১৫



https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=661946333908961&id=518446804925582&comment_id=662067590563502&reply_comment_id=663509603752634&notif_t=feed_comment_reply


ভাই, আপনার মাধ্যমে এই পেজের সকলকে আমি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। খুবই ভাল লাগল এটা দেখে যে, আমরা সবাই নিজেদের সম্মানটুকু দেখাতে পেরেছি নিজেদের ভদ্রচিত তথা সুন্দর ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে। তবে প্রশ্নের খাতিরে বা জানার খাতিরে যদি কেউ বা কোন মানুষ প্রশ্ন করে এমন কিছু যা সে জানতে চাই তাহলে প্রশ্নটা যদি কুকর্ণ হয়ও তথাপি সেটা বলা আমার কাছে উচিৎ বলে বিবেচ্য। কারণ স্বরূপ বলতে পারি যে, এমন প্রশ্নের উত্তর যদি আমি না পায় তবে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে যেতে পারি যদি তা জানার প্রয়াসে হয় তবে যে কোন প্রশ্ন করা বলাবাহুল্য শ্রেয়।


আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, আমার করা প্রশ্নের উত্তরা না পাওয়ার জন্য কোন অভিপ্রায় দেখাচ্ছি না। আসলে আমিও হাজার প্রশ্নের উত্তর জানিনা। আর জানিই বা কতটুকু। যেখানে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মাত্র মস্তিষ্কের মাত্র ৫% ব্যবহার করতে পারি।

যা হোক, আপনি বলেছেন- আমরা পবিত্র কোনআন পেলাম কোথা থেকে?

তবে আপনি মন্তব্য করেছেন যে, মহানবী এটা নিজেই লিখেছেন কিনা?

যেহেতু মহানবী একজন মানুষ তাই আমরা এও ধরে নিতে পারি যে, এই পবিত্র কোনআন কোন মানুষ লিখে কিনা?

আসুন আমরা সবাই কোনআন কে মানব রচিত কিনা একটু বিচার করি।
(১) আমি আর বিজ্ঞানের কথাগুলো প্রমানিত বলে কোরআনের মহত্ব প্রকাশ করবো না,  যেটা করব তা হলো বাস্তবে পরীক্ষা। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছেন যে, কোরআনের মতো মাত্র একটা সূরা রচনা করতে পারেন।

(২) আমার বড় ভাই বকলম। নাম মোঃ জুয়েল। বর্তমানে চট্টগ্রামে থাকে। আমার ছোট ভাই মোঃ শামিম আখতার, সেও দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। বলি আমার এই দুই ভাইয়ের পক্ষে এটা সম্ভব কি একটা কবিতা রচনা করা? যদি আপনি সম্ভব বলে মনে করেন তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। (চ্যালেঞ্জ করুন আমি নিজে আপনাদের নিয়ে যাবে) তাহলে কিভাবে একজন উম্মী (জীবনে যে স্কুলে যাননি) তার পক্ষে এমন মহান গ্রন্থ আল-কোরআন রচনা সম্ভব হয় তাও সেটা যদি হতো এমন গ্রন্থ তার মধ্যে কিছু কাল্পনিক কথা থাকতো বা কোন উপন্যাসের মত বা কোন সিনেমার মত তবু হয়তো মানতাম যে এটা সর্বশক্তিমান ঈশ্বর লিখেন নি, এটা নিশ্চয় কোন মানব রচিত। কিন্তু এই পবিত্র এমন সব কথা আছে যা প্রমাণ করে এটা আল্লাহর কথা। কোন মানুষ এমন কথা লিখতে পারে না। এব্যাপারে অনেক যুক্তি দেখানো যায়। আমি একজন কর্মজীবি তাই বিশদ লেখা সম্ভব হচ্ছে না তবে একটা লিংক দিলাম- বিজ্ঞানের আলোকে কোরআনকে যাচাই করে নেন-
http://www.icsbook.info/797/shibir/2



(৩) গাছ শব্দটা আমি লিখার পূর্বে কোটি মানুষ এটা বলেছে, লিখেছে, গাছ কথাটা আমি লিখলাম তারপর আপনি লিখলেন, এরমানে এই নয় যে, আপনি আমার এই গাছ শব্দটা চুরি করেছেন! গাছ এর ইংরেজী শব্দ আপনি জানেন- তা হলো Tree, আরবীতে শাজারুন, তাই বলে আমি আমরা কেউই কিন্তু এসব চুরি করিনি। এসব আমরা বলে বলে, জেনেছি, শিখেছি। এভাবে আমি বা আপনি একটা কবিতা লিখবেন এর মধ্যে যত শব্দ আপনি বা আমি ব্যবহার করবো তার প্রায় সবই কেউ না কেউ জানে। এটা হতে পারে কিছু নতুন শব্দ আপনার মাথা থেকে বা আমার মাথা থেকে উদয় হলো তারপর সেটার অর্থ দিলাম এই বা ঐটা। কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন শব্দ ব্যবহার করে কোন কবিতা লিখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আর যদি এটা এমন হয় যে, আপনি সত্য বলবেন তাহলে নতুন শব্দ তৈরীর প্রশ্নই আসেনা। কারণ আপনি গাছকে আর কিই বা নতুন নামে ডাকতে পারেন? যদিও পৃথিবীতে হাজারো ভাষা আছে। এখন হঠাৎ করে আমি গাছকে ঠাছ বললাম নিশ্চয় আপনি বুঝবেন না। এভাবেই আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত সত্য বলতে গিয়ে হিন্দুরে (আপনাদের) অনেক কথার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, আবার খ্রিষ্টানদের সাথেও সাদৃশ্যপূর্ণ। তার মানে এই নয় যে তিনি তাদের থেকে চুরি করেছেন। বরং তিনি সেই সব কথাগুলো বলেছেন যা সত্য। এখন আপনাদের প্রশ্ন করি- তিনি কেন এমন কথা বলেন নি যা ঠিক নয়। কেন তিনি শুধু সত্য গুলো বললেন আর মিথ্যাগুলো বললেন না। (প্রশ্ন করছি- তিনি কি জ্যোতির্বীদ ছিলেন নাকি যে আগে থেকেই জানতে এমনটা' যে, এটা ঠিক, এটা ঠিক না, আর মুসলিমরা মান' এটা মানলে ক্ষতি হবে, ঐটা মানো এটা মানলে উপকার হবে' ইত্যাদি)।


এই ব্যাপারে হাজারো যুক্তি, তর্ক বিতর্ক চলে আসছে অনেক দিন থেকেই। এখন সময় এসেছে-অনুধাবন করার, উপলব্ধি করার, বাস্তুনিষ্ঠ কথাগুলো মেনে চলার, সুতরাং আর মনগড়া পথ নয়। যা বস্তুনিষ্ঠ তাই মোরা মানবো..................

ভাষাগত ক্রটি মার্জনীয়--

সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি.....

No comments:

Post a Comment

International