ডারউইনের মুরিদ হবো
একদা ডারউইনকে ছুঁতে গেলাম- মুরিদ হবো বলে । তিনি বললেন, বয়স হয়নি। আরো দশ বৎসর পর।
দশ বৎসর পর পুনশ্চ গেলাম। তিনি ডান হাত এগিয়ে দিলেন- আমি স্পর্শ করলাম। চোখ এগিয়ে দিলেন- আমি চোখকে অবনত করলাম থুঁতনি বরাবর।
অদ্ভুদ ডারইউন! ডান হাত মেলতেই নেমে পড়ল বিবর্তনের আয়না। চোখ খুলতেই প্ররতিশ্রুতিলব্ধ গালাপাগোসের লম্বালম্বি ঝুলন্ত। রকমারি হরিয়াল তাঁর দৃষ্টির কিনারে উড়ছে- প্রাণিজন্মের নাটাই উঁচিয়ে । তালুতে প্রাকৃতিক আবিস্কারের রমরমা রেখাচিত্র । পথভুলো নিশানার সুড়ুঙ্গ। চোয়ালের কাছে নাটকীয় উদ্ভিদের আনাগোনা।
অতঃপর আমি ডারউইনের মুরিদ হয়ে গেলাম। আমার কলমে বিবর্তনের আয়না ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে যান্ত্রিক শহর, কালোবোধীয় রাস্তার কোলাজ। চোখে তকমা লাগানো লেন্স।
কিছুদিন পর ডারইউন আমার থেকে আশির্বাদ তুলে নিলেন- আমি তাঁর চিন্তার নরম শাবকও হতে পারিনি। অধ্যাবসায়হীন মরুচর্চার মতো শুধু বালিয়াড়ি লিখেছি-এটাই নাকি দোষ। প্রকৃতি লিখিনি, ভ্রমণ লিখিনি, আকাশ লিখিনি।
আমি মুরিদহীন টুপি সর্বস্ব কবি। অযথা পদকের স্বপ্নে বিভোর থাকি। ডারউইন আমাকে আশির্বাদ করলে পেয়েও যেতাম যোজন স্বপ্নের চিকচিক।
লেখক: কবি ও গবেষক
No comments:
Post a Comment