ঐশি চিঠি
একটা চিঠি এলো। কোন নাম ঠিকানা নেই। ভাবলাম ধুর ফেলে দিই। কিন্তু বড় করে লেখা- মানলে ভালো থাকবে না মানলে কঠিন শাস্তি পাবে।
আরেকটু পড়ে দেখি- লেখা আছে- যদি মেনে নাও তবে সুখে থাকবে। এতে তোমারই ভালো।
পরে আমি পুরোটাই পড়লাম। বেশ ভাল কথাই লেখা আছে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে চিঠিতে অনেক বিষয় মেনে চলতে বলা হয়েছে আর অনেক বিষয় নিষেধ করেছে। কি যে করি। ভেবে দেখলাম- প্রথমে দেখি মেনে চললে কি লাভ? দেখলাম- বেশ ভালো। যা যা মানতে বলা হয়েছে তা মানলে আমারই উপকার হবে। এবার দেখি যে সব নিষেধ করা হয়েছে তা না মানলে কি হয়? এবার সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম! যদি উল্লেখিত বিষয়ে যা নিষেধ করা হয়েছে তা সত্যিই তা থেকে বিরত থাকি তবে আমারই লাভ এবং তাতে অনেক বিপদ থেকেও মুক্তি পাবো।
এবার সত্যি সত্যি চিঠিটা পড়ে খুব আশ্চর্য লাগছে। কে এই চিঠিদাতা? কে এই চিঠির রচয়িতা? যে কি আমার জন্য সকল উপকারী বিষয়াবলী মানতে আর অপকারী সকল বিষয় না মানতে আদেশ করেছে? কে এই প্রেরক যিনি উক্ত বিবরণী না মানলে শাস্তি আর মানলে শান্তির বার্তা দিয়েছে?
------ আচ্ছা আমি কি এসব ভাববো নাকি-উড়ো চিঠি হিসেবে সব ফেলে দিব?
- চিঠির উপকারী দিকগুলো কি শুধু নিজেই মানবো নাকি অন্যকেও বলবো?
- চিঠির অপকারী দিকগুলো থেকে নিজে বিরত থাকবো নাকি অন্যেকেও তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান করবো?
- চিঠিতে যা বলা হয়েছে তা কি বিশ্বাস করবো নাকি অপপ্রচার করবো?
- চিঠির মর্মকথা দিয়ে কি নতুন কোন ব্যবসা/ধান্দা করবো?
- নাকি সব বিষয় মেনে নিয়ে নিজে সুখে থাকবো অন্যেকেও্ এ পন্থায় সুখে থাকার পরামর্শ দিব।
কি করবো? কি করা উচিৎ? কোনটা করলে আমার জন্য ভালো?
আমার সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে-
আমার পথ আমাকেই খুজে নিতে হবে-
আমার শান্তি আমাকেই দেখে নিতে হবে-
আমার আত্মা আমাকেই রক্ষা করতে হবে-
আজ থেকে চিঠির বার্তা মেনে চলবো- শান্তিতে জীবন গড়বো।
উপরোক্ত চিঠি পেলে হয়তো আমরা এমন ভাবি না কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে আসার চিঠি/ম্যাসেজ/দিক নির্দেশনা/ঐশি বাণী নিয়ে আমাদের কি চিন্তা করা উচিৎ নয়? আমরা কি এই চিঠির বিষয়াবলী ভেবে চিন্তে গ্রহণ করবো না? যা কিনা আমাদের উপকার করে আর অপকার থেকে রক্ষা করে!
আসুন আমরা চিঠি পড়ি, উপকারগুলো গ্রহণ করি অপকার থেকে নিজেকে রক্ষা করি।
No comments:
Post a Comment