আহ্ কি নির্মম
, এমন মা ও দুনিয়াতে আছে
মাইশা আক্তার ( ১৬ )
সেখানকার একটি মহিলা মাদ্রাসার মেশকাত জামাতের ছাত্রি।
খুবই বিচক্ষণ, দূরদর্শীত, আমলওয়ালী একটি মেয়ে।
মাইশার আম্মা স্বপ্না বেগম। পিতা মো:আব্দুল্লাহ।
ইদানিং মাইশার কাছে তার মায়ের আচরন অনেকটা ভিন্ন লাগছে। কেননা মাইশাদের বাড়িতে মাইশার মায়ের ফুফাতো ভাইয়ের ইদানিং খুব আসা যাওয়া। মাইশা বিষয়টি অন্য ভাবে আচ করে একটু তদন্তে নামেন। অবশেষে " মাইশা বুঝতে পারে মাইশার মায়ের অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে ঐ লোকের সাথে।
মাইশা ধার্মিক মেয়ে তাই চিন্তা করলো" বাবাকে বিষয়টি না জানিয়ে - মা, কে ধর্মীয় ভাবে বুঝাতে হবে। এজন্য মাইশা তার মা কে আল্লাহর ভয় দেখান। ও পরকীয়ার শাস্তি জানান। কিন্তু মাইশার এ কথাগুলি তার মায়ের কাছে অগ্নি ফুলঙ্গের মত লাগলো । মাইশা মাদ্রাসায় চলে যাওয়ার পর স্বপ্না তার পরকীয়া স্বামীর সাথে বিষয়টি আলোচনা করে।
এবং তারা মাইশাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিকেল ৩ টা।
আসরের আজান হবে। মাইশা মাদ্রাসা থেকে ফিরে আসে বাড়িতে। মাইশার বাবা আব্দুল্লাহ মিয়া চাকরীর সুবাদে বাড়ির বাহিরে থাকার কারনে বাড়ি একদমই ফাঁকা ছিল। মাইশা যেই মাত্র বাড়িতে আসলো। পিছন থেকে বাড়ির দরজা গেইট বন্ধ করে দেয়া হলো। হায়েনার মত নিস্পাপ অসহায় মাইশার উপর জাপিয়ে পড়ে মাইশার মায়ের সেই পরকীয়া স্বামী। টেনে হেচড়ে গায়ের বোরকা খুলে মায়ের সামনেই ধর্ষণ করলো মাইশাকে। ধর্ষণ করার পর মাইশার দু পায়ে চেপে ধরলো পরকীয়াধারী সেই লোক। আর মাইশার গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে মাইশাকে হত্যা করলো মাইশাকে জন্ম দেয়া মাইশার আপন মা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত্রে।
কিশোরগঞ্জ জেলার,করিমগঞ্জ থানার- ৪ নং ওয়ার্ডের দেহুন্দা গ্রামে।
পরকীয়ার ভয়াবহ রূপ_ আপন সন্তানকে হত্যা করতেও দ্বিধা করেনা।
হায়রে দুনিয়ার মানুষ
সবাই স্বার্থপর
স্যতিই দুনিয়াটা মিছে মায়া
No comments:
Post a Comment