সারাদেশে যখন তেরে হা-হা-কার ঠিক তেল নিয়ে আমাদের ভাবা উচিৎ। এমনই একজন ভাবুক মানুষের মূল্যবান কমেন্ট আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম-
একজন সাংবাদিক লিখলেন-
হাঙ্গরের তেল তৈরির কারখানা যে এলাকায় অবস্থিত, সে এলাকার দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে আমি ও আমার সহকর্মীদের মারধর করে
আর তার এই খবরের নিচে কমেন্ট করেছে-
এদেশে সয়াবিন তেল চালু করা হয়েছে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে বা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদেশ নির্ভর করতে কাজটি করা হয়েছে। যে সয়াবিন ও পাম আমরা উৎপাদন করি না, তা থেকে উৎপাদিত তেল কীভাবে আমাদের খাবারের আবশ্যকীয় উপাদান হতে পারে? ?
_৮০' দশকে আমাদের দেশে সয়াবিন তেলের ব্যবহার শুরু হয়। খুব সম্ভবত জাতিসংঘের রিলিফ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। ধীরে ধীরে সয়াবিন তেল চালু হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুতেও আমরা গ্রামে সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখিনি।
আমার মতে, এদেশে সয়াবিন তেল চালু করা হয়েছে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে। বা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদেশ নির্ভর করতে কাজটি করা হয়েছে। যে সয়াবিন ও পাম আমরা উৎপাদন করি না, তা থেকে উৎপাদিত তেল কীভাবে আমাদের খাবারের আবশ্যকীয় উপাদান হতে পারে?
আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় সরিষা, আমাদের মূল ব্যবহার্য তেল হবে সরিষা। সরিষার তেলই ক্রেতাদের নাগালে আনতে হবে। এ নিয়ে উদ্যোক্তাদের ভাবতে হবে।
পাশাপাশি, গরুর খামারের দিকে নজর দিতে হবে। বলা হচ্ছে, গরু পালনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। যদি তাই হয় তবে গরুর মাংসের দাম এত বাড়বে কেন? আসলে কী খামারিরা লাভ করছে নাকি অন্যকেউ? গরু পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে দুগ্ধজাত পন্যের সহজলভ্যতা তৈরি হওয়ার কথা। বিশেষ করে ঘি। অল্প ঘিতেই অনেক তেলের কাজ হয়। কিন্তু আসলেই কি গরু পালনে আমরা এগিয়েছি?
দক্ষিণাঞ্চলে তরকারিতে নারকেল দেওয়া হয়। এটা তেলের কাজই করে।
আরও সম্ভাবনা রয়েছে রাইস ব্রান অয়েলের। ধানের তুষ থেকে তৈরি এ তেলের ওপর আমরা নির্ভর করতে পারি।
আমার মনে হয়, তিল, তিষি, সরিষা, ঘি, নারকেল, বাদাম উৎপাদন বাড়ালে আমরা ধীরে ধীরে সয়াবিনের ক্ষতিকর ও অবাস্তব প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
একটা চাইনিজ প্রবাদ দিয়ে লেখাটি শেষ করতে চাই। সেটা হলো যা তুমি বানাতে পারো না তা খাওয়ার অভ্যাস করো না। সয়াবিনের মতো আরও কিছু জিনিস আছে যেগুলোর বিকল্প ভাবতে হবে।
********************************
তিনি কমেন্ট করেছেন- (কপি)
সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কী করতে পারবি’
কক্সবাজারে অবৈধ উপায়ে হাঙর মাছের তেল, চামড়া ও কান পাচারকারী চক্র নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় তিন সংবাদকর্মী। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ায় হাঙরের তেল তৈরির কারখানার ভিডিওচিত্র ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম দ্য টেরিটোরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক আজিম নিহাদ, প্রতিবেদক রাহুল মহাজন ও ক্যামেরাপারসন লোকমান হাকিমের ওপর তেড়ে এসে হামলা চালান পাচার চক্রের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিক আজিম নিহাদের গলা চেপে ধরেন, ক্যামেরা কেড়ে নিতে চড়াও হন ক্যামেরাপারসন লোকমানের ওপর। এ সময় তিনি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন এবং মোবাইল ভাঙচুর করেন।
এ সময় মোস্তাককে চিৎকার করে গালাগালি করতে দেখা যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘সারা বাংলাদেশ কিছু করতে পারেনি, তোরা কী করতে পারবি’
খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহাদসহ অন্য সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।
আহত সাংবাদিক আজিম নিহাদ জানান, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের সংশোধিত ৩৯ ধারা অনুযায়ী বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত হাঙর আহরণ এবং বাজারজাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন না মেনে কক্সবাজারের উখিয়া—টেকনাফসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে অবৈধভাবে হাঙ্গর সংগ্রহ করে একটি প্রভাবশালী চক্র হাঙরের বিভিন্ন অংশ এবং বিশেষ কায়দায় উৎপাদিত তেল বিদেশে চড়ামূল্যে পাচার করে আসছিল। ওই চক্রের তথ্য পেয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন তাঁরা।
নিহাদ আজিম বলেন, ‘হাঙ্গরের তেল তৈরির কারখানা যে এলাকায় অবস্থিত, সে এলাকার দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে আমি ও আমার সহকর্মীদের মারধর করে চক্রের প্রধান আলমগীরের ছোট ভাই মোস্তাক। আমি মাথায় ও গলায় আঘাত পেয়েছি, ডাক্তার সিটিস্ক্যান করাতে বলেছেন।’
কক্সবাজার সদর মডেল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা মামলা নেব। আসামিদের আইন আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সোমবার বেলা তিনটায় কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয় চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার, সাংবাদিক সংসদ, শিশু কিশোর সংগঠন জাতীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) বেশ কয়েকটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
-সংগ্রহীত
No comments:
Post a Comment