মা
মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
আমার মায়ের মুখ সুর্যস্নাত ভোরে
আধো অন্ধকারে আমি দেখতাম
মমতা ভরা চোখে, সে চোখ থাকতো
আনন্দ অশ্রুধারায় ভরা।
আমার মা আমাকে চিঠি দেয়
ভেতরে লেখে-বাবা, তোর মুখ দেখি না
সে কতো দিন হয়ে গেলো। কেউ কি তার সন্তানের
মুখ না দেখে এতদিন থাকতে পারে?
আমি জীবিত আছি। প্রবাসে থাকি
আমার মা আমাকে দেখতে চেয়ে
আদরের পরশ বুলাতে চায়
আমাকে দেখে তার মন ভরাতে চায়।
কিন্তু যে রয়েল, কামান আর বেয়োনেটের
বুলেটে চিরতরে বিদায় নিয়েছে যার সন্তান
সে মা কাকে দেখতে চাইবে?
সে কার কাছে অমন করে লেখবে চিঠি?
মা তুমি কি দেখনি বাহান্ন
উনসত্তর আর একাত্তরের কারবালা
তুমি কি জানো না কতো মায়ের বুক
খালি হয়েছে। কতো সন্তান নিয়েছে চিরবিদায়?
তাহলে আমায় নিয়ে অস্থির কেন? মা।
মা, আমি জানি এসব তোমার অজানা নয়।
কেবল রক্তের বাঁধনে টানে তোমার কাছে
তোমার সন্তান তুমি তো দেখতে চাইবেই।
কিন্তু আজ হতে একার অধিকার দেখবো না আমি
পৃথিবীর সব মা-ই আমার মা
আমি চিৎকার করে বলবো
পৃথিবীর সব মা-ই আমার মা
তাদের পরশ স্নেহে ধন্য হবো আমি।
বলো মা, তুমি অনুমতি দেবে না আমায়?
আমি যে তোমার অনুমতির অপেক্ষায়।
লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক
রচনাকাল: ১৯৯৭, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।
রচনাকাল: ১৯৯৭, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।
No comments:
Post a Comment