বান্দরবানের জেলা পরিষদের স্বাধীনতা কর্মসূচি
স্থগিত হলেও প্রশাসনের একক পালিত
বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে জেলা প্রশাসকের টানাপোড়েন মধ্যে দিয়ে জেলা প্রশাসক এই প্রথম বারে মতো একক ভাবে স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ পালন করেছেন।
সকালে স্টেডিয়াম মাঠে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক দাবি করে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন মজুমদার ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
কয়েক দিন আগেই বান্দরবানের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজক কে হবে জেলা প্রশাসন নাকি জেলা পরিষদ। এ নিয়ে টানাপোড়েন বান্দরবান কর্তাদের মধ্যে।
সকালে কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রথম সাড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য সচিবের আসন রাখার হলেও আসনটিতে খালি দেখা গেছে। তবে পার্বত্য জেলা পরিষদের দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন সদস্য ক্যসাপ্রু রাখান ও সিংয়ং ম্রো ।
জেলা পরিষদের ক্যশৈহ্লা মারমা অভিযোগ করে বলেন ১৯৮৯ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জাতীয় দিবস উদযাপন করবে জেলা পরিষদ। পার্বত্য চুক্তিতেও সেভাবে বলা হয়েছে। প্রতি বছর পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সঙ্গে নিয়ে কুচকাওয়াজে সামাম গ্রহণ করে থাকেন।
কিন্তু এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। সকালে বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের এক কর্মচারি সাথে কথা হলে তিনি বলেছেন বড় স্যার অফিসের না যেতে বারণ করেছেন। তাই বাজার করার জন্য বের হয়েছি বলে জানান তিনি। আরোও কয়েক জন কর্মকর্তার ও কর্মচারীকে বাজারে ঘুড়াঘোড়ির মিল পাওয়া গেছে।
তিন পার্বত্য জেলা মধ্যে এভাবে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করে না । তারা জেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশ নেয় বলে সংশ্লিস্ট্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের স্বাধীনতা দিবসের সকল কর্মসূচির বিরত থাকার কারণে লক্ষ লক্ষ অনুষ্ঠানের খরচ ব্যয় কমছে কারণে সাধুবাদ জানিয়েছেন বান্দরবান শহরের সাধারণ জনগণ। সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে আরিফুল ইসলাম নামে তিনি বলেছেন জেলা পরিষদের অনুষ্ঠিত স্বাধীনতার দিবস বিরত থাকার অনেক খরচের টাকার ব্যয় কমছেন মন্তব্য করছেন তিনি।
বান্দরবানের নবাগত জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেছেন জেলা প্রশাসক স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। সেখানে জেলা পরিষদও থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সেভাবে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন মজুমদার ব্রিগেড কমান্ডার জুবায়েদ শাহলেহী (পিএসসি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: শফিউল আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মফিদুল আলম ডিজিএফ আই কমান্ডার আরিফুজামান জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মিতা খীসা সিভিল সার্জন অংশৈপ্রু চৌধুরী পৌর মেয়র ইসলাম বেবী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধার সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা দিবসের প্রশাসনের আয়োজন অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে সংবাদ/মিডিয়া কর্মীদের কে পিছনে সাড়িতে বসা নিয়ে সংবাদর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
ছবি: বান্দরবানের স্বাধীনতা দিবসের একাংশ
মংথোয়াই ম্রয় মারমা
বান্দরবান প্রতিনিধি
No comments:
Post a Comment