সরকার পতনের বিকল্প!
মোঃ সেলিম রেজা
হরতাল শব্দটা শুনতে এখন আর ভালো লাগে না। কেমন যেন আহঙ্ক লাগে! হরতাল মানেই ভাঙচুর, মারামারি, হানাহানি, আগুন আর এখন শুরু হয়েছে গোলাগুলি। ফলে হরতালের আয়োজনে মানুষ মরছে জনে জনে। আর চাই না হরতাল আর চাই না মৃত্যুর মিছিল। আর চাই না স্বজনের আহাজারি। চাই সুন্দর দেশ, যাতে থাকবে না মারামারি, হানাহানি। থাকবে না রাহাজানি, নৃশংসতা। থাকবে আন্তরিকতা, ভালোবাসা। কিন্তু বরাবরই কিছু মানুষ এগুলো চাই না। চাই না বলেই যত সমস্যা। সময়ের আবর্তে আমাদেরই এক হতে হবে। করতে হবে সমাধান। গড়তে হবে দেশ, বাঁচাতে হবে আগামী প্রজন্মকে। তাই আসুন দেখি আমরা হরতালের বিপরীতে কি কি করতে পারি....
আবহমান কাল থেকে যা চলে আসছে...
১। সরকারকে অবহিত করণের লক্ষে সভা সমাবেশ করা।
___ যা এখন সরকার করতে দেয় না
২। প্রেস/সংবাদ সম্মেলন করা
____ ওরা বর্তমানে বিক্রিত পণ্য (দু একজন ছাড়া..কারও যদি জানা থাকে যে উমুক এখনও বিক্রি হয়নি তো জানাবেন)।
৩। মানববন্ধন করা
___ চলছে... তবে সরকার এতে মনে করছে- যা বলবি বল কান করেছি ঢোল!
৪। মিছিল করা
___ করতে আর কই দিচ্ছে... সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল! এতো এখন আস্ত গায়ে বিষ ফোঁড় বলে মনে করছে সরকার। এখানেও দমন-পিড়ন
৫। জনগণকে সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করণ
___ পায়ে হেঁটে এখন আর সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করা যায় না__ টিভি_মিডিয়াগুলো ঘোষণা দিয়ে বিরোধীদের নিউজ করে না... আবার যা কিছু সত্য তা প্রকাশ করে না। তাহলে..?
৬। হরতাল
___ যদিও এটি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার তবুও বর্তমান সময়ে তা হালাল আর হারাম হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে সরি... জায়েজ আর না জায়েজ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। আসলে অনেকে কোনটি জায়েজ আর কোনটি নাজায়েজ তা না বলে, বলে হারাম আর হালাল!!! মূর্খ চেনার আরেক উপায় আরকি? সে যাইহোক যারা বুঝার তারাতো বুঝবেনই।
__ তো হরতাল অবরোধে যখন দেখবে সরকার অকেজো হয়ে পড়ছে তখন ঠিকই সরকার বাধা দিবে তখন বিরোধীদলগুলোও তাদের অধিকার আদায়ে সবর থাকবে। এখন প্রশ্ন হলো__
শেষমেষ ক্ষতিটা হয় কার?
জনগণের (সরল উত্তর)
তাহলে কি করতে পারি?
১। যারা সরকারের অধিনস্থ তাদের শান্তিপূর্ণ পদত্যাগ করা উচিৎ
__ যা আদৌ কেউ করবে না!
২। সরকারের একটা অংশ যেটাকে বড় হতে হবে যারা এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে
___ তারা হয়তো করবে.. ততক্ষণে আমাদের কি হবে?
৩। সরকারকে আমরা ভ্যাট_ ট্যাস্ক দেয়া বন্ধ করে দিতে পারি?
___ সরকার কি তা মানবে? তখন না জানি কোন পন্থা অবলম্বন করে। তবে যদি অধিকাংশ জনগণ মনে করে আমরা সরকারকে মানি না তাই আমরা ভ্যাট... ট্যাক্স দিব না। তখন কি হবে?
৪। সরকারের মত বিচার বিভাগও জনগণের ভোটে নির্বাচিত করতে হবে। যেন যখন তখন আইন পাশ না বাধ্যগত বিচার বিভাগ না করতে পারে। সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিচার বিভাগ করতে দেয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি>>>> সরকার>>>> রাষ্টপতি যদি সরকারের মূলমন্ত্র হয় তাহলে তিনটাই গণতান্ত্রিকভাবে হওয়া দরকার। যাতে সরকার ১ম পক্ষ তো রাষ্টপতি ৩য়পক্ষ আর বিচারপতি ২য় পক্ষ এভাবে হয়। অথবা দুটি অথবা ভোটের মাধ্যমে তিনটিই।
৫। সরকার পতনের অন্যতম শান্তিপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে বেকার ভাতা চালু করা। যদি কখনো সরকার জনগণের হয়ে কাজ না করে তখন সবাই একসাথে চাকুরী ছেড়ে সরকারি বেকার ভাতা গ্রহণ করা। যাতে সরকার হাড়ে হাড়ে টের পাই যে দেশের জনগণ কতটা সরকার বিরোধী হয়ে পড়েছে যে তারা চাকুরী ছেড়ে বেকার ভাতা নিচ্ছে। আর এটা অবশ্যই দিতে হবে এমন আইন করা। যারা অন্তত তিনমাস চাকুরী না করবে তারা এই বেকার ভাতার আওতায় পড়বে।
বেকার ভাতা দিতে দিতে সরকার ফতুর হয়ে যাবে তখন আর গদিতে বসে থাকতে চাইবে না।
___ আচ্ছা এতে কাজ হবে তো? বাংলাদেশ বলে কথা!!
উপরোক্ত পয়েন্টগুলো আপনার বিকল্প হবে কি?
No comments:
Post a Comment